শোয়েব মালিক ও হুসেইন তালাতের

পিএসএলের সপ্তম আসরের ২২তম ম্যাচে শোয়েব মালিক ও হুসেইন তালাতের হাফ সেঞ্চুরির উপর ভর করে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৫০ রানে হারিয়ে নিজেদের চতুর্থ জয়ের দেখা পেল পেশাওয়ার জালমি!

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন পেশাওয়ার জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ। উভয় দলের একাদশে আসে ২টি করে পরিবর্তন। আহসান আলী ও হাসান খানের পরিবর্তে কোয়েট্টা দলের হয়ে একাদশ আসেন উইল স্মিদ ও খুররাম শেহজাদ। পেশাওয়ার জালমির হয়ে হায়দার আলী ও আমাদ বাটের জায়গায় প্রথম একাদশে যুক্ত হন হুসেইন তালাত ও উসমান কাদির। 

১ম ইনিংস:

পেশাওয়ার জালমির হয়ে ওপেনিং করেন হাজরাতুল্লাহ জাজাই ও মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু, ওপেনিং জুটি স্থায়ী হয় শুধু মাত্র ১ ওভার। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে নাসিম শাহ’র এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাত্র ১ রান করে নিজের উইকেট হারান হাজরাতুল্লাহ জাজাই। 

এরপর মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গ দিতে মাঠে নামেন লিয়াম লিভিংস্টোন। কিন্তু, জাজাইয়ের মতোই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই ইংলিশ তারকা। জাজাইয়ের আউট হওয়ার ২ বল পরই কোনো রান না করেই সাজ ঘরে ফেরেন লিয়াম লিভিংস্টোনও। 

পরে ক্রিসে আসেন শোয়েব মালিক। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভার শেষে পেশাওয়ার জালমির স্কোর হয় ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান। সপ্তম ওভারে মোহাম্মদ হারিস আউট হলেও হুসেইন তালাতকে সাথে নিয়ে ভালোভাবে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন শোয়েব মালিক। ১৩তম ওভারে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন পাকিস্তানের এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। 

১৫তম ওভারের তৃতীয় বলে খুররাম শেহজাদের বলে শোয়েব মালিক আউট হলে হুসেইন তালাতের সাথে তার ৭৩ রানের জুটি ভাঙে। এরপর ১৯তম ওভারে বেন কাটিংয়ের ২৭ রানের এক দুর্দান্ত ওভারে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে পেশাওয়ার জালমি। জালমির হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ বলে ৫৮ রান করেন শোয়েব মালিক। বোলিংয়ে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে ৪ ওভার করে ২৭ রান খরচে ৪ উইকেট শিকার করেছেন নাসিম শাহ। 

২য় ইনিংস:

১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিজেদের প্রথম দুই ওভারে এক দুর্দান্ত শুরু করেন দুই বিদেশি ওপেনার জেসন রয় উইল স্মিদ। কিন্তু, পরের ওভারের তৃতীয় বলেই জেসন রয়ের উইকেট তুলে নেন জালমি অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ। 

এরপরের ওভারেই জেসন রয়ের দেখানো পথে হাঁটেন জেমস ভিন্স। উসমান কাদিরের বলে ভিন্স আউট হন কোনো রান না করেই। পাওয়ার প্লে শেষে কোয়েট্টার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটের বিপরীতে ৫০ রান। ভিন্স আউট হওয়ার পর ব্যাটিং করতে নামেন সরফরাজ আহমেদ। 

উইল স্মিদের সাথে দলের হাল ধরেন সরফরাজ। ১১তম ওভারে সরফরাজ আহমেদ ২৫ রান করে আউট হলেও উইল স্মিদ ঠিকই নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। সরফরাজ আহমেদের পর ইফতেখার আহমেদ ও উমর আকমাল, উইল স্মিদকে সঙ্গ দিতে চাইলেও ব্যর্থ হন। ১৮তম ওভারের শেষ বলে ৯৯ রান করে সালমান ইরশাদের উইকেটে পরিণত হলে ১ রানের জন্য নিজের সেঞ্চুরি তোলা হয়নি উইল স্মিদের। 

শেষ দুই ওভারে কোয়েট্টার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২ রান ও হাতে ছিল ৪ উইকেট। কোয়েট্টা দলের হয়ে ক্রিসে ছিলেন সোহাইল তানভীর ও নূর আহমেদ। কিন্তু, ১৯তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের এক অসাধারণ বোলিংয়ে পেশাওয়ার জালমির জয় অনেকখানি নিশ্চিত হয়ে যায়। ওই ওভারেই নূর আহমেদের উইকেট হারিয়ে মাত্র ২ রান নেয় কোয়েট্টা। 

শেষ ওভারের প্রথম বলেই আউট হন সোহাইল তানভীর। পরের ৫ বলে ৫ রান সংগ্রহ করলে পেশাওয়ার জালমির বিপক্ষে ২৪ রানের হার নিশ্চিত হয় কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্সের। কোয়েট্টার হয়ে সর্বোচ্চ ৬০ বলে ৯৯ রান সংগ্রহ করেন উইল স্মিদ। অন্যদিকে, পেশাওয়ার জালমির হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন উসমান কাদির। 

ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : হুসেইন তালাত [৫১(৩৩) এবং ১/৮ (২ ওভার)]

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

স্কোর:

পেশাওয়ার জালমি – ১৮৫/০৭ (২০ ওভার)

শোয়েব মালিক ৫৮(৪১) ; হুসেইন তালাত ৫১(৩৩)

নাসিম শাহ ৪/২৭ (৪ ওভার) ; ইফতেখার আহমেদ ১/২ (১ ওভার) 

কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স – ১৬১/০৮ (২০ ওভার)

উইল স্মিদ ৯৯(৬০) ; সরফরাজ আহমেদ ২৫(২১)

উসমান কাদির ৩/২৫ (৪ ওভার) ; সালমান ইরশাদ ২/৩৭ (৪ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top