জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করলো সাকিবের বরিশাল

বিপিএলের দ্বিতীয় দিনে জয় দিয়ে আসর শুরু করলো বরিশাল ও খুলনা!

বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার কাছে হারের সম্মুখীন হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। 

যেখানে, দিনের ২য় ম্যাচে হাইভোল্টেজ এক ম্যাচের দেখা পায় দর্শকরা। উক্ত ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে শাহাদাত হোসেন ও নাজিবুল্লাহ জাদরানের অনবদ্য জুটিতে ১৭৮ রানের টার্গেট তাড়া করে জয় পায় চট্টগ্রাম।

আজ বিপিএলের ২য় দিনেও খেলা ছিল ২টি। দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স এবং দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। 

খালেদ আহমেদের বোলিং নৈপুণ্যে সহজ জয় বরিশালের

টসে জিতে রাইডার্সকে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেয় বরিশাল। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রান করে সাজ ঘরে ফিরেন ব্র্যান্ডন কিং৷ শুরুর ওভারে উইকেট দেওয়া রংপুর খালেদ আহমেদের দ্বিতীয় ওভারে আরও দুই উইকেট হারায়। 

আফগান অলরাউন্ডার আজমাতউল্লাহ ওমারজাইও পঞ্চম ওভারে প্যাভিলিয়নে ফিরলে ৪ উইকেটে ৩১ রান করা রংপুর বিপাকে পড়ে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার শামীম হোসেন দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। 

অধিনায়ক সোহানের পর আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি দু’জনই শামীমকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন। সঙ্গীদের পতন দেখে শামীম নিজেও যেন আর স্থায়ী হতে পারেননি। ৩৪ রানে শামীম আউট হলে শেখ মাহেদীর ২৯ রানের উপর ভর করে ১৩৪ রানের ছোট সংগ্রহ পায় রংপুর।

ক্ষুদ্র টার্গেট তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুটাই করে বরিশালের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইব্রাহিম জাদরান। তবে, ইব্রাহিম জাদরানকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি সাকিব। 

তিনে ব্যাটিং করতে নামে মিরাজ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৩৫ এবং সৌম্য সরকার মাত্র ১ রান করে আউট হলে মিরাজ ও মুশফিক দেখেশুনে খেলতে থাকে। 

মিরাজ ২০ রান ও মুশফিক ২৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে দলের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার শোয়েব মালিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলের হয়ে প্রথম জয় তুলে নেন। ৩১ রানে ৪ উইকেট শিকার করা ফরচুন বরিশাল পেসার খালেদ আহমেদ হয় ম্যাচ সেরা। 

রংপুর রাইডার্স – ১৩৪/০৯ (২০ ওভার)

শামীম পাটোয়ারী – ৩৪ (৩৩)

খালেদ আহমেদ – ৪/৩১ (৪ ওভার)

ফরচুন বরিশাল – ১৩৮/০৫ (১৯.১ ওভার)

তামিম ইকবাল – ৩৫ (২৪)

সাকিব আল হাসান – ২/১৬ (৪ ওভার)

লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের জয় ৪ উইকেটে 

টস ভাগ্যে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। যেখানে, দলের হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যর্থ আবিষ্কা ফার্নান্দো। আশার আলো দেখিয়েও ১৮ রানে ফিরেন তানজিদ তামিম।

ওপেনারদের পথ অনুসরণ করে একইভাবে ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ ইমরানুজ্জামান, শুভাগত হোম ও গত ম্যাচে জয়ের নায়ক শাহাদাত দিপু।

দলের খেলোয়াড়দের আশা যাওয়ার মধ্যে কেউই পারছিলেননা হাল ধরতে। নাজিবুল্লাহ জাদরান চেষ্টা করেও ২৪ রানে শিকার হন নাহিদুল ইসলামের। 

এরপর, দলের বাকিরা দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে না পারলেও শহিদুল ইসলামের ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংসে খুলনাকে ১২২ রানের সহজ এক টার্গেট দেয় বন্দর নগরীর দলটি।

জবাব দিতে নেমে শুরতেই হোঁচট খায় খুলনা। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যই এনামুল হক ও দলের দুই ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা এভিন লুইস ও শাই হোপ সাজ ঘরে ফিরলে বিপাকে পড়ে খুলনা। 

খুলনার হয়ে বিপদের সামাল দেন মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন। দুইজনের জুটিতে জয় আরও দৃশ্যমান হয় টাইগার্সদের।

আফিফ ২৬ ও মাহমুদুল হাসান জয় ৩৯ রানে নিজেদের ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলেও জয় পেতে আর তেমন বেগ পেতে হয়নি এনামুল হকের নেতৃত্বাধীন দলটির। ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুলনা টাইগার্সের স্পিনার নাহিদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১২১/১০ (১৯.৫ ওভার)

শহিদুল ইসলাম – ৪০ (৩১)

নাহিদুল ইসলাম – ৪/১২ (৪ ওভার)

খুলনা টাইগার্স – ১২২/০৬ (১৮.২ ওভার)

মাহমুদুল হাসান জয় – ৩৯ (৪৪)

শহিদুল ইসলাম – ২/২৬ (৪ ওভার)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top