উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশনের সমস্যায় বর্তমানে অনেকেই ভুগছেন। উচ্চ রক্তচাপ এমন একটি রোগ যা একবার হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। যার ফলে স্ট্রোক এবং হার্ট এট্যাকের মতো ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশ নিরবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
আজকের আর্টিকেলে তাই হামদর্দ এর উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নাম এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করা যাক।
হামদর্দ এর উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের নাম; নরমাটেনসিন
হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ এর নরমাটেনসিন উচ্চ রক্তচাপ প্রশমনে প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি নরমাটেনসিন উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী।
নরমাটেনসিন ( NORMATENSIN)
নরমাটেনসিন উচ্চ রক্তচাপ প্রশমনে অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। নরমাটেনসিন এর মূল উপাদান হলো সর্পগন্ধা এবং সেই সাথে আরও প্রাকৃতিক উপাদান পরিমাণ মতো রয়েছে। চলুন এবার জেনে নিই নরমাটেনসিন ট্যাবলেট এর কার্যকারিতা, সেবন বিধি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে।
নরমাটেনসিন এর কার্যকারিতা
নরমাটেনসিন ট্যাবলেট উচ্চ রক্তচাপ প্রশমনের পাশাপাশি হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা প্রদান করে। এই ট্যাবলেট দুশ্চিন্তা নিবারক এবং শান্তকারক হিসেবে অত্যন্ত উপকারী। ইহা মানসিক উত্তেজনা ও অনিদ্রা হীনতা দূর করে। এছাড়াও নরমাটেনসিন ট্যাবলেট মাথা ব্যথা, মূর্চ্ছা রোগ, মস্তিষ্কের বিকৃতি রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ফলপ্রদ।
নরমাটেনসিন এর সেবন বিধি
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১ থেকে ২ টা ট্যাবলেট দৈনিক সেবন যোগ্য।
নরমাটেনসিন এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নরমাটেনসিন ট্যাবলেট প্রাকৃতিক ঔষধি উপাদানের নির্যাস থেকে তৈরি। তাই এই ট্যাবলেট চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে সঠিক মাত্রায় সেবনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ৭টি উপায়
ওষুধের পাশাপাশি বেশকিছু উপায় অবলম্বন করে আপনি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। চলুন জেনে নিই উপায়গুলো কী কী।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যায়াম বা নিয়মিত শরীর চর্চা করার বিকল্প নেই। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য ব্যায়াম বা শরীর চর্চা একটি কার্যকর উপায়। কারন নিয়মিত শরীর চর্চা করার ফলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং ধমনীর উপর চাপ কমে। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে দৈনিক ৩০ মিনিট হলেও ব্যায়াম করা উচিৎ।
২. পটাশিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পটাশিয়াম যুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। কারন রক্তচাপ রোগীদের জন্য পটাশিয়াম একটি উপযুক্ত উপাদান। এই উপাদানটি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে তা রক্ত নালীর ওপর চাপ কমায়। তাই খাদ্য তালিকায় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাক সবজি, ফলমূল, মিষ্টি আলু, বাদাম ও বীজ, টুনা, স্যালমন খাবার যোগ করুন।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতা উচ্চ রক্তচাপের আর একটি কারন। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওজন কমাতে হবে। কারন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব।
৪. অ্যালকোহল এবং ধুমপান বর্জন করুন
অ্যালকোহল যুক্ত খাবার এবং ধুমপান উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে রক্ত নালীর ক্ষতি করে। যেহেতু উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তাই এগুলো বর্জন করুন এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
৫. লবন এর পরিমাণ কম করুন
লবন শুধু উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্যই নয়, সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে লবন যুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করতে হবে। কারন অতিরিক্ত লবন উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।
৬. আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন
আঁশযুক্ত খাবার যেমন ফলমূল ও শাক সবজি শরীরের জন্য যথেষ্ট উপকারী। এসব খাবার রক্তে কোলেস্টেরল কমায়। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে আঁশযুক্ত খাবার যেমন শিম, ভুট্টা, বার্লি ইত্যাদি খাবার খান।
৭. কার্বোহাইড্রেট পরিহার করুন
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা চিনি, ময়দাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার বর্জন করুন।
হামদর্দ এর উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কোথায় পাবেন
হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ এর সকল পন্য এবং ঔষধ পেতে চাইলে আপনি ঘরে বসেই দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে অর্ডার করতে পারেন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে। এখানে সকল ঔষধ নায্য মূল্যে পাওয়া যায়।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশন বর্তমানে প্রচলিত রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন কারনে উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে। উচ্চ রক্তচাপ প্রশমনে হামদর্দ এর ওষুধ নরমাটেনসিন অত্যন্ত কার্যকর। সম্পুর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এ ওষুধ সেবনে আপনি উপকৃত হবেন।
তাই দেরি না করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হামদর্দ এর ওষুধ সেবন করুন এবং নিজেকে রোগ মুক্ত ও সুস্থ রাখুন।