জার্মানি-জাপান ম্যাচের পর গ্রুপ-ই’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামে স্পেন। জাপানের কাছে জার্মানির হারের পর গ্রুপের শীর্ষস্থান দখলের জন্য কোস্টারিকাকে হারাতে মুখিয়ে ছিল স্পেন।
নিজের চেনা পরিচিত ৪-৩-৩ ফর্মেশনেই দল সাজান লুইস এনরিক। অন্যদিকে, দলের অন্যতম সেরা তারকা কেইলর নাভাসকে নিয়েই স্পেনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিতে মাঠে নামে কোস্টারিকা।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্পেন নিজেদের স্বভাবসুলভ খেলা খেলতে থাকে। প্রথম থেকেই বলের উপর আধিপত্য ছিল লুইস এনরিকের দলের। যার ফলস্বরূপ ১১ মিনিটেই দানি ওলমোর পা থেকে প্রথম গোলের দেখা পায় লাল জার্সিধারীরা।
এর ১০ মিনিট পর জর্ডি আলবার এ্যাসিস্টে ব্যবধান ২-০ করেন মার্কো এ্যাসেন্সিও। অপরদিকে, স্পেনের গোলে একটা শটও মারতে ব্যর্থ ছিল কোস্টারিকা। পাশাপাশি কোস্টারিকার ডিফেন্স লাইনও ছিল একদম ছন্নছাড়া।
৩১ মিনিটে জর্ডি আলবাকে ফাউল করে স্পেনকে পেনাল্টি উপহার দেন ডিফেন্ডার অস্কার দুয়ার্তে। সেট পিস থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভুল করেননি ফেরান টরেস। যার ফলে, প্রথমার্ধ শেষে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে আক্রমণ গতি আরও বাড়িয়ে দেয় লা রোজারা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ৯ মিনিটের মাথায় নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন ফেরান টরেস। ম্যাচের আধা ঘণ্টা বাকি থাকতেই চার গোল খেয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে কোস্টারিকার প্লেয়াররা।
যার সুযোগ নিয়ে ৭৪ মিনিটে গাভি, ৯০ মিনিটে পেদ্রির বদলি হিসেবে নামা কার্লোস সোলার এবং ম্যাচের যোগ করা সময়ে ফেরান টরেসের বদলি হিসেবে নামা আলভারো মোরাতার গোলে ৭-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাবেক একবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এতে করে ১৯৭৫ সালের পর নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হলো কেইলর নাভাসের দল।