জয়তুন তেল

জয়তুন তেল কি ও কেন এর প্রয়োজনীয় উপকারিতা জানুন!

জয়তুন তেল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি তেল। জয়তুন বা অলিভ অয়েল কোষ্ঠবদ্ধতা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। যা জয়তুন তেলকে বানিয়েছে আশ্চর্যকারী তেল।

জয়তুন তেল, জয়তুন ফল থেকে পাওয়া যায়। যুদ্ধে জয়তুনের পাতাকে শান্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শরীরে শান্তির দূত হিসেবে জয়তুনের তেল ব্যবহার করা হয়। আরবিতে জয়তুনকে তরল সোনা নামে ডাকা হয়।মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে এই ফলের কথা উল্লেখ রয়েছে।

আমাদের মধ্যে কয়জন জয়তুন তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানে? খুব কম মানুষই জানে।তাই আপনাদের  আজকে জয়তুন তেল কি কেন ও প্রয়োজনীয়  উপকারীতা সম্পর্কে জানাতে চলছি।

ভিডিওঃ অলিভ অয়েল তেলের ১৯ স্বাস্থ্যকর উপকারিতা জেনে নিন!

জয়তুন তেল কি

মূলত জয়তুন তেলকে আমরা অনেকে লিভ ওয়েল (Olive Oil) নামে চিনে থাকি। এ তেল রয়েছে  গুরুত্বপূর্ণ অনেক উপাদান। যা আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে। 

জয়তুন গাছ একধরনের চিরহরিৎ বৃক্ষ। জয়তুন গাছ ৮-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। পাতা ৪-১০ সে.মি. লম্বা ও ১-৩ সে.মি. প্রশস্ত হয়ে থাকে। জয়তুন ফল  আকারে বেশ ছোট। এই ফল থেকেই জয়তুন বা অলিভ অয়েল পাওয়া যায়।

সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। রন্ধন কর্মে, চিকিৎসা শাস্ত্রে, দেহের বাহ্যিক  ব্যবহারের জন্য জয়তুন তেল ব্যবহার করা হয়। আকর্ষণীয় এবং মহনীয় সব গুণাবলি এই জয়তুনের তেলের মধ্য রয়েছে।

বাংলাদেশে  জয়তুন তেলের ব্যবহার তেমন নেই। শুধুমাত্র শীতকালে শরীরে মাখার কাজে জয়তুন তেল ব্যবহৃত হয়। তাও খুবই সীমিত।এছাড়া খাওয়ার কাজে এটির ব্যবহার নেই বললেই চলে।

জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায়

খাবারে জয়তুনের তেল ব্যাবহারের ফলে শরীরের ব্যাড ক্লোষ্টোরেল এবং গুড ক্লোষ্টোরেল নিয়ন্ত্রণ হয়। জয়তুনের তেলের আরেকটা গুণাবলি হল এটা পাকস্থলীর জন্য খুব ভালো। শরীরে এসিড কমাতেও সাহায্য করে।

বিভিন্ন দোকান বা শপিং সেন্টারে জয়তুন পাওয়া যায়। এছাড়াও এলাকার বড় বড় সুপারশপে জয়তুন ওয়েল পাওয়া যায়। জয়তুন বা অলিভ অয়েল বিভিন্নভাবে ব্যবহার হয়। খাওয়ার তেল হিসাবে আবার শরীরের মালিশের জন্য অলিভ ওয়েল হিসাবে পরিচিত। তাই আপনি যে কাজের জন্য ব্যবহার করবেন সেই হিসাবে নাম বললেই জয়তুন তেল পেয়ে যাবেন।

জয়তুন তেলের প্রকারভেদ

বাজারে মোটামুটি চার ধরনের জয়তুনের তেল পাওয়া যায়ঃ

  1. এক্সট্রা ভার্জিন  অলিভ অয়েল বা জয়তুন তেল ।
  2. ক্লাসিক বা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা জয়তুন তেল।
  3. অলিভ পোমেস অয়েল বা জয়তুন তেল ।
  4. লাইট ফ্লেভার অলিভ অয়েল বা জয়তুন তেল ।
  5. এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল বা জয়তুন তেল

এটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের জয়তুন তেল বা অলিভ অয়েল। রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য আপনি এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন বা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। মাখনের বিকল্প আপনি হিসেবেও এটি খেতে পারেন। অন্যান্য ভেষজ তেলের তুলনায় এটি অধিক স্বাস্থ্যসম্মত। এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন অয়েল জয়তুনের আসল নির্যাস থেকে প্রস্তুত করা হয়। 

যারফলে এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন তেল রয়েছে জিরো ক্যালোরিওজন কমাতেডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।  এছাড়াও  এক্সট্রা ভার্জিন জয়তুন তেলে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে,।যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

ক্লাসিক বা ভার্জিন জয়তুন তেল

রান্না-বান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ক্লাসিক জয়তুন তেল। এতে এসিডের পরিমাণ অত্যন্ত কম। পাস্তা, স্টার-ফ্রাইড রাইস তৈরিতে ক্লাসিক অলিভ অয়েলের বিকল্প নেই। এটি ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও ভালো কাজ করে। চুল ও ত্বকে ব্যবহারের জন্যও ক্লাসিক অলিভ অয়েল উপযোগী।

জয়তুন পোমেস তেল

গন্ধহীনতা ও লঘু হলুদ রঙের কারণে জয়তুন পোমেস রান্নার জন্য আদর্শ তেল। উচ্চ স্ফুটনাঙ্কের কারণে ডিপ ফ্রাইং-এর জন্য খুব ভালো এই তেল। পোলাও, পরোটা এমনকি পাকোড়া তৈরিতেও জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন।

লাইট ফ্লেভার জয়তুন

হালকা রং ও মৃদু গন্ধের জন্য সহজেই এই জয়তুন তেলকে চিনতে পারবেন। এটি দিয়ে কন্টিনেন্টাল রান্না, ভাজি, রোস্ট বা বেকিং এমনকি যেকোনো রকম পদই অনায়াসে তৈরি করতে পারেন।

জয়তুন তেলের উপকারিতা

স্বাস্থ্য সচেতনতায় জয়তুন তেলের ব্যবহার সুপ্রাচীণ। জয়তুন ফলকে পিষে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এই তেল সংগ্রহ করা হয়। এটি একমাত্র তেল যেটা বীজ থেকে সংগ্রহ না করে ফল থেকে সংগ্রহ করা হয়। এজন্য এই তেলের উপকারিতা গুনাগুন  বেশি। নিচে কিছু উপকারীতা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

১.সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জয়তুনঃ

জয়তুন তেল ত্বকে পুষ্টি জোগায়। মুখে জয়তুন তেল ব্যবহার করলে রঙ বাড়ে এবং সৌন্দর্য বাড়ায়। ঠোঁটের মালিশ ম্যাসাজ করলে ঠোঁট নরম হয়ে যায়। বাজারে পাওয়া ফিগারো জয়তুন তেল নবজাতকের হাড় এবং চুলের জন্য বেশ উপকারী। জয়তুন তেল  ঘামের গন্ধ দূর করে।

২.ক্যান্সার এর ঝুঁকি কমায় 

জয়তুন তেলে থাকা পলিফেনলস নামক ক্যান্সার প্রতিরোধি এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

নিয়মিত জয়তুন তেল তরকারিতে ব্যবহার করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। অন্ত্র, স্তন, কোলন, এন্ডোমেট্রিয়াম, প্রোস্টেটসহ ইত্যাদি ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।

৩.স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

জয়তুন তেলে থাকা পলিফেনলস রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হওয়া রোধ করা হয়। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে হ্রাস করে।

৪.হজমশক্তি উন্নত করে 

জয়তুন তেল শরীরে এসিড কমায়। যকৃৎ পরিষ্কার করে। জয়তুন তেল আমাদের পাচনতন্ত্রকে তৈলাক্ত করে এবং সুস্থ রাখে। এটি নিয়মিত মলত্যাগ বজায় রাখে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।জয়তুন তেল কোষ্ঠবদ্ধতা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ পেট ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য প্রতিদিন  ১ চামচ জয়তুন তেল অনেক অনেক উপকারী।

৫.কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে 

জয়তুন তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। যা আমাদের রক্তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। রক্তে কোলেস্টেরল দূর করে আমাদের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে জয়তুন তেল খেতে হবে।

জয়তুন তেল প্রতিদিন এক চামচ খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরল বাড়ায়।

৬.রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ

রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতেও জয়তুন তেল বিশেষ ভুমিকা রাখে।

মেয়েদের এই সমস্যাটা বেশি দেখা দেয়। যেসব মেয়েরা রক্তশূন্যতায় ভোগের তাদের জন্য  জয়তুনের তেল খুবই কার্যকরী।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

জয়তুন তেল কীভাবে খেতে হয়

জয়তুন তেলের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। জয়তুন তেলের সব পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তার ব্যবহারের উপর।

অনেকেই সরাসরি জয়তুন তেল খেয়ে থাকেন। আবার কেউ সালাদে ব্যবহার করেন।এছাড়াও জয়তুন তেল দিয়ে রান্না করলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভালো হয়।

রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগের মতো বড় অসুখের কারণ  অস্বাস্থ্যকর তেলের রান্না খাওয়া। খাবার স্বাস্থ্যকর রাখতে রান্নায় জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন

রান্না করে খাওয়ার বদলে জয়তুন তেল সরাসরি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাপে এই তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।তবে সঠিক তাপে রান্না করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না।

এছাড়াও অনেক দেশের মানুষ নিয়ম করে প্রতিদিন  ১.৪ কাপ অলিভ অয়েল খেয়ে থাকেন। তবে প্রতিদিন ৬০ এমএল এর বেশি অলিভ অয়েল খাওয়া ঠিক নয়।

চুলের যত্নে জয়তুন তেল

জয়তুনের তেলে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট এবং ফ্যাটি এসিড। যা চুলের যত্নে এবং চুল বৃদ্ধিতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখতে

নিয়মিত চুলে জয়তুন তেল ব্যবহারে মাথার ত্বক পরিষ্কার থাকে। জয়তুন তেলে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। রাতে শোবার আগে জয়তুন তেল ভালো করে চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এতে চুল দেখতে সুন্দর ও মৃসণ দেখাবে।

চুলের ময়েশ্চারাইজার হিসেবে

শীতের সময়ে ত্বকের শুষ্কতা খুব বেশি দেখা দেয়। এরজন্য চুল যথাযথ পুষ্টি পায় না। শুষ্ক ত্বকে খুশকির প্রকোপও বেশি হয়ে থাকে।  জয়তুন তেল মাথার ত্বকে ভালো ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। 

চুলপড়া রোধে

চুলপড়া কমাতে ভূমিকা রাখে জয়তুন তেল। সাধারণত পুষ্টি ও যত্নের অভাবে চুল বেশি পড়ে। চুলে নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহার করলে চুল পুষ্টি পায়। মাথার ত্বকও পরিষ্কার থাকে। ফলে চুল পড়ার হার কমে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলপড়ার হার অনেকাংশে কমে যাবে।

চুলের কন্ডিশনার হিসেবে

শ্যাম্পুর মতো চুলে কন্ডিশনার দেওয়াও জরুরি। শ্যাম্পু করার জন্য  চুলের ওপর যে ধকল যায় সেটি মোকাবেলা করতে সাহায্য করে কন্ডিশনার। চুলের কন্ডিশনার হিসেবে জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। জয়তুন খুব ভালো কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।

এছাড়ও যাদের চুলের গোড়া দুর্বল, চুল ঝরে পড়ে যায়। তারা জয়তুন তেল ব্যবহার করে ভালো উপকার পাবেন। জয়তুন তেল হাতের তালুতে নিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া শক্ত হবে। ফলে রক্ত সঞ্চালনের প্রবণতা বাড়বে। চুল ঝরে পড়বে না এবং সুন্দর ও লম্বা হবে।

ত্বকের যত্নে জয়তুন তেল

জয়তুন তেল ময়েশ্চরাইজার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও আপনার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির সঙ্গী হতে এই জয়তুন তেল। শীতের সময় শুষ্ক ত্বকে জয়তুন তেল বেশ উপকার করে। শীতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। 

এছাড়াও ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা যেমন- অ্যালার্জি, ফুসকুড়ির মতো দেখা দেয়। এসব সমস্যা এড়ানোর জন্য জয়তুন তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

ত্বকের যত্ন একটু বেশি সিরিয়াস থাকা প্রয়োজন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বকের পরিচর্যা করতে হয়। আর যদি সেটা হার্বাল জয়তুন তেলের হয় তাহলে বেশি ভালো ত্বকের জন্য। নিচে ২ টি হারবাল প্যাক দেওয়া হলো। যেকোনো ১টি সপ্তাহে ২ দিন প্যাক লাগাতে পারেন।

প্যাক : ১ চা চামচ জয়তুন তেল, আধা চা চামচ ময়দা, আধা চ চামচ টমেটোর রস ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করে নিয়ে পুরো মুখে ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

প্যাক : ১ চা চামচ জয়তুন তেল, গাজরের পেস্ট ১ চা চামচ, ১ চা চামচ মুগের ডালের গুঁড়া ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মুখে ১০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

উপসংহার

জয়তুন তেল একটি অতি উচ্চ গুণসম্পন্ন ভেজস তেল। যার অনেক আশ্চর্যজনক উপকারিতা রয়েছে।  কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, আমরা অনেকেই জয়তুন তেল কী, এর ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে  জানিনা। আজকে চেষ্টা করেছি আপনাদের জয়তুন তেল কি কেন ও প্রয়োজনীতা উপকারীতা সম্পর্কে জানানোর জন্য।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। 

 আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top