ইসুবগুল বা তোকমা দানা চেনেন বা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ আমাদের দেশে পাওয়া যাবে না। কিন্তু অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে ইসবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার নিয়ম প্রকৃতপক্ষে কি।
সকল ধরনের অর্গানিক ফুড কিনুন আমাদের শপ থেকে!
কারণ অনেকে বলেন এগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে খেতে হবে, আবার কেউ কেউ বলে ভেজানোর পরপরই খেয়ে ফেলতে হবে। সবরকম দ্বিধা-দ্বন্দ দূর করে আজ আমরা সঠিক নিয়ম জানবো।
ইসবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Table of Contents
ইসবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার নিয়ম
ইসুবগুল:
আগেকার দিনে মুরব্বিরা সাধারণত সারারাত ভিজিয়ে রাখার পরে সকালে খালিপেটে ইসুবগুল খেতেন। কিন্তু এটি সঠিক নিয়ম নয়। বর্তমান সময়ে ডাক্তারেরা পরামর্শ দেয় ইসুবগুল ভেজানোর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে।
সাধারণত এক থেকে দুই চামচ ইসুবগুলের ভুষি এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খেয়ে ফেলতে হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ছাড়াও আমাশায়, এসিডিটি, পাইলস্ ইত্যাদি প্রতিরোধ করে। তাছাড়া প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, হাত পায়ে জ্বালাপোড়া ও ওজন নিয়ন্ত্রনে এর স্বস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। হামদর্দ এর অরিজিনাল ইসপাগুল কিনুন আমাদের শপ থেকে!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কখন এবং কতদিন খাবেন? সাধারণত দীর্ঘদিনের পুরাতন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ১ থেকে ২ চামচ ইসুবগুল এক গ্লাস পানিতে গুলিয়ে খাবেন। আপনি এক থেকে দুই মাস পর্যন্ত খেতে পারেন। সাধারণ কোষ্ঠকাঠিন্য এর ক্ষেত্রে সাত থেকে দশ দিন খেলেই যথেষ্ট।
তোকমা দানা:
কোষ্ঠকাঠিন্য সহ হজমের সমস্যা দূর করে, ওজন কমায়, এসিডিটি নিয়ন্ত্রন, গরমে দেহের তাপ কমায়, তাছাড়া রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রন করতে যথেষ্ট কার্যকর তোকমা দানা। এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে, এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ তোকমা দানা সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হয়।
সকালে এগুলো ফুলে উঠলে দানা সহ সম্পূর্ণ পানি খালি পেটে খেয়ে ফেলতে হয়। চাইলে এর সাথে এক গ্লাস খাঁটি মধু সংযুক্ত করে নিতে পারেন।
নিয়মে তোকমা দানা খেলে আরো কিছু উপকার পেতে পারেন, যেমন- কফ্ নিরাময়, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, স্কিনের ইনফেকশন প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যবান ও ঝলমলে চুল, রক্তস্বল্পতা, মুখের আলসার প্রতিরোধ ইত্যাদি।
>> তোকমা দানার উপকারিতা – কেন এটি খাওয়া উচিত জেনে নিন!
সাবধানতা
ইসবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী এগুলো খাবেন এবং পাশাপাশি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। ইসুবগুল খাওয়ার ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘদিন নিয়মিত ভাবে খাবেন না। অনেকেই দেখা যায় সারাবছর একটানা খেতে থাকে।
>> রসুন এর উপকারিতা – ১১ টি গুণাগুণ জেনে নিন!
এতে শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এটি না খেলে আর পায়খানা হতে চায় না। তাই যে সমস্যার জন্য খাবেন সেটি সমাধান হয়ে গেলে ইসুবগুল খাওয়া বন্ধ করে দিন। অথবা আবার খেতে চাইলে কিছুদিন বন্ধ রেখে তারপর আবার খেতে পারেন।
গর্ভবতী মহিলা অথবা যারা বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তাদের শরীরের ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমান কমিয়ে দিতে পারে তোকমা দানা, তাই তাদের এটি না খাওয়া উচিৎ। অধীক পরিমানে তোকমা দানা খেলে ব্লাড সুগারের লেভেল অনেক কমে যেতে পারে। ভালভাবে পানিতে ভিজিয়ে রেখে না খেলে পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে, তাই খাওয়ার আগে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।
>> গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা । ১১ টিপস সহ জেনে নিন!
শেষ কথা
আশা করি ইসবগুল ও তোকমা দানা খাওয়ার নিয়ম, এর সুবিধা ও সাবধানতা সম্পর্কে ভাল ধরণা পেয়েছেন। এগুলো খুবই উপকারি, তবে ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারলে কিছু অসুবিধা হতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে গ্রহন করার মাধ্যমে অসুবিধাগুলোকে এড়িয়ে প্রকৃত কার্যকারিতা পাওয়া সম্ভব।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!