রাউন্ড অফ ১৬’র শেষ ম্যাচে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লক্ষ্যে লুসাইল স্টেডিয়ামে মাঠে নামে ইউরোপের অন্যতম দুই দল সুইজারল্যান্ড ও পর্তুগাল। প্রথমবারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ভিন্ন কোনো বিকল্প ছিল না ফার্নান্দো সান্তোসের দলের।
যেখানে, ১৯৫৪ সালের পর আরও একবার কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে পর্তুগালকে রুখে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল সুইসরা। সুইসদের বিপক্ষে শেষ ১৬’র মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পর্তুগালের শুরুর একাদশে ছিলেন না দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তার পরিবর্তন হিসেবে এই ম্যাচে দলে ছিলেন গোন্সালো রামোস।
১ম হাফ: ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে খেলতে নামা পর্তুগাল প্রথম থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকে। পর্তুগালের হয়ে ম্যাচের ১৭ মিনিটেই অসাধারণ এক গোল করেন গোন্সালো রামোস। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেও বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল পর্তুগাল। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে সুইস ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখে তারা।
৩৩ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের বাড়ানো বলে দলের হয়ে ২য় গোলটি করেন পেপে। যেখানে, প্রথমার্ধে পর্তুগালের দিকে আক্রমণ চালাতে একপ্রকার ব্যর্থ হয় সুইস ফরোয়ার্ডরা। ফলে, ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
২য় হাফ: দ্বিতীয়ার্ধে সুইজারল্যান্ডের সাথে রীতিমতো ছেলে খেলায় মেতে উঠে পর্তুগিজরা। ২য় হাফ শুরুর ৬ মিনিট পর আবারও গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান গোন্সালো রামোস। তার গোলের রেশ কাঁটতে না কাঁটতেই রাফায়েল গুরেরোর গোলে সুইজারল্যান্ডের জালে গোলের হালি পূর্ণ করে পর্তুগাল। ৫৮ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের হয়ে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ম্যানুয়াল আকান্জি।
তার এই গোল ছাড়া আক্রমণভাগে একরকম নিষ্ক্রিয়ই ছিল মুরাত ইয়াকিনের শিষ্যরা। এরপর, ৬৭ মিনিটে নিজের তৃতীয় গোল করে হ্যাট্রিক পূরণ করেন রোনালদোর পরিবর্তে দলে জায়গা পাওয়া গোন্সালো রামোস। এরপর, ম্যাচের যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে গোল করে সুইজারল্যান্ডের বিদায়ের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেসের পরিবর্তে সাব হয়ে নামা রাফায়েল লিয়াও।
সেমিফাইনালে যাওয়ার উঠার নিয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাত ৯ টায় ৩য় কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফার্নান্দো সান্তোস শিষ্যরা।