চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট সানরাইজার্স

জ্যাকসের ঝড়ে প্লে অফে চট্টগ্রাম!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর চলছে। আসরের ২৯তম ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল  চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও সিলেট সানরাইজার্স। 

মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে অসাধারণ সূচনা পায় সিলেট। কলিন ইনগ্রাম ও এনামুল হক বিজয় ওপেনিং জুটিতে ৪১ রান এনে দেয় দলকে। আগের দুই ম্যাচে ঝড়ো ইনিংস খেলা ইনগ্রামকে এবারে থামতে হয় মাত্র ২৪ রানে। 

ইনগ্রামের পর মিজানুর রহমান মাঠে নামেন। কিন্তু ৩ বল খেলে কোন রান না পেয়েই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এনামুল হক বিজয় আউন হন ২৬ বলে ৩২ রান করে। বিজয়ের পরে লেন্ডন সিমন্স আউট হয় ২৭ বলে ৪২ রান করে। দলকে মোটামুটি এগিয়ে দিয়ে যায় বিজয় ও সিমন্স। 

বিজয়, সিমন্স সাজঘরে ফিরলে অধিনায়ক রবি বোপারা শুরু করেন ঝড়ো ব্যাটিং। বোপারাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২১ বল খেলে ২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন বোপারা। ৩ টি চার ও ২ টি ছক্কা হাঁকিয়ে ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন সৈকত। 

ক্রিকেটের আরও খবর…

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট। এর মাধ্যমে আসরের শেষ ব্যাটিং শেষ করে সিলেট। চট্টগ্রামের পক্ষে ৩ টি উইকেট নেয় মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। 

১৮৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নামে চট্টগ্রাম। ওপেনার জাকির হাসান অসাধারণ শুরু করলেও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননা। ৯ বলে ১৭ রান করে সোহাগের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন জাকির। ব্যাট হাতে আর ব্যর্থ ছিল আফিফও। 

জ্যাকস ও ওয়ালটনের ছুটিতে চট্টগ্রাম এগিয়ে যায় অনেকটা। দু’জনেই সমানতালে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন জয়ের দিকে। কিন্তু তাদের পার্টনারশিপ যখন ৬৯ রানের তখন রান আউটের শিকার হন ওয়ালটন। ২৩ বলে ৩৫ রান করে আউন হন ওয়ালটন। 

ওয়ালটন বিদায় নিলেও টিকে ছিলেন জ্যাকস। বেনি হাওয়েলকে নিয়ে দলকে টানতে শুরু করেন আবার। হাওয়েল বড় শট না খেললেও জ্যাকস রান তুলে তা পুষিয়ে দিচ্ছিলেন। জয়ের আশা দেখতে পাচ্ছিলো চট্টগ্রাম। তবে হাওয়েলও খহব দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যায়। 

হাওয়েলের পর মাঠে নামে শামীম হোসেন। তখন ২৭ বলে ৪৩ রানের প্রয়োজন চট্টগ্রামের। পাহাড়সম রান প্রয়োজন হলেও শামীমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। ১৭তম ওভারে বোপারার এক ওভার থেকেই তুলেন ১৪ রান। ৭ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে আলাউদ্দিনের শিকারে পরিনত হয় শামীম। 

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। প্রথম বলেই ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করে জ্যাকস। ৪ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয় পায় চট্টগ্রাম। ৫৭ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন জ্যাকস। এই জয়ের মাধ্যমে প্লে অফের জায়গা করে নিল চট্টগ্রাম। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

টস – চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

সিলেট সানরাইজার্স – ১৮৫/৬ (২০) 

বোপারা ৪৪ (২১), সিমন্স ৪২ (২৭), মোসাদ্দেক* ৩৫ (২২), বিজয় ৩২ (২৬)

মৃত্যুঞ্জয় ৩৬/৩, মিরাজ ৩৬/১

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স – ১৮৮/৬ (১৯.১)

জ্যাকস* ৯২ (৫৭), ওয়ালটন ৩৫ (২৩), শামীম ২১ (৭)

সোহাগ  ২১/২, আলাউদ্দিন ৩২/২

ফলাফল – চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন উইল জ্যাকস।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top