নিজেদের হেক্সা জয়ের মিশনে আরও একধাপ এগিয়ে যেতে কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল। রাউন্ড অফ ১৬’তে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা ব্রাজিল ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামে এই ম্যাচে।
যেখানে, ব্রাজিলকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালের পথে এগিয়ে যেতে আত্মপ্রত্যয়ী ছিল জালাতকো দালিচের দল। কোনো পরিবর্তন ছাড়াই ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে সেলেসাওরা। আর ম্যাচে দুই পরিবর্তন এনে ব্রাজিলের বিপক্ষে একাদশ সাজান ক্রোয়েট বস।
১ম হাফ:
শেষ চার বিশ্বকাপের সবগুলোতেই নকআউট পর্বে উঠলেও প্রতিবারই ইউরোপের দল থেকে হেরেই বাদ হতে হয়েছে ব্রাজিলের। তাই, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে কিছুটা সতর্ক হয়েই খেলতে নামে হলুদ জার্সিধারীরা। কিন্তু, ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে সমান তালে লড়াই চালিয়ে যায় দুই দল।
ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে ভালো কিছু আক্রমণ চালালেও প্রতিপক্ষ গোলকিপার লিভাকোভিচের দৃঢ়তায় গোল পাওয়া হয়নি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। যেখানে, সুযোগ তৈরি করেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়াও। যার ফলে, প্রথমার্ধে বল দখলে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় ক্রোয়েশিয়া।
২য় হাফ:
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণ দুর্গে আক্রমণ হার বাড়াতে থাকে ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারদের ব্যস্ত রাখলেও এবারও গোলশূন্য ছিল সেলেসাওদের স্কোর। ব্রাজিলের গোল পাওয়ার স্বপ্নে প্রতিবারই বাধা হয়ে উঠে ক্রোয়েট গোলকিপার ও ডিফেন্ডাররা।
অন্যদিকে, ব্রাজিলের আক্রমণের মাঝে কোনো ভালো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি লুকা মদ্রিচের দল। ফলে, গোলশূন্য ড্র নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ করে উভয় দল।
অতিরিক্ত সময় ও পেনাল্টি:
নির্ধারিত সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচের খেলা গড়াই অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের খেলাও ছিল নির্দিষ্ট সময়ের খেলার অনুরূপ। আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করলেও এবারও গোলের দেখা পাচ্ছিলনা কোনো দল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে নেইমারের অসাধারণ এক শটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল।
পরে, দ্বিতীয়ার্ধে এসে সময় গড়ানোর সাথে সাথে ব্রাজিল জয়ের দিকে আগালেও ম্যাচ শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে আন্দ্রেজ ক্রামারিচের পরিবর্তন হিসেবে নামা ব্রুনো পেটকভিচের গোলে ১-১ এর সমতা আনে ক্রোয়েশিয়া। যার ফলে, অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ গোল নিয়ে খেলা শেষ হলে পেনাল্টি ভাগ্যে যায় ১ম কোয়ার্টার ফাইনাল।
পেনাল্টিতে এসে আবারও ক্রোয়েশিয়ার ত্রাণকর্তা হন ডোমিনিক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়া নিজেদের সব পেনাল্টিতেই গোল করতে সক্ষম হয়। কিন্তু, ব্রাজিলের হয়ে প্রথম পেনাল্টি নিতে গিয়েই ভুল করে বসেন তরুণ রদ্রিগো। এরপর, দলের চতুর্থ পেনাল্টিতে মার্কুইনোসের শট বারে লেগে ফিরে গেলে আসর থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল ব্রাজিলের।