ব্যর্থতা নিয়েই শেষ

ব্যর্থতা নিয়েই শেষ হলো বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজের যাত্রা!

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় বারের মতো মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বড় হারের পরে আজ সুযোগ ছিল প্রতিশোধের। নিউজিল্যান্ডের হেগলি ওভালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

বাংলাদেশের পক্ষে  ওপেনিং জুটিতে নামে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সৌম্য সরকার। তবে শুরুটা আশানুরূপ হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় মাত্র ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাদাব খানের হাত বন্দি হয় সৌম্য সরকার। ৪ বলে মাত্র ৪ রান করে সাজ ঘরে ফেরেন সৌম্য। 

সৌম্য সাজ ঘরে ফিরলে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে জুটি বাধে লিটন দাস। তবে বেশিক্ষণ সঙ্গ  ধরে রাখতে পারেনি শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাত বন্দি হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন শান্ত। ১৫ বলে ১২ রানের ধীর ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে শান্ত। 

শান্ত ফেরার পরে তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের অসাধারণ পার্টনারশিপে দ্রুত এগোতে থাকে বাংলাদেশ। লিটনের ঝড়ো ইনিংসে পাকিস্তানের বোলাররা দিশেহারা হয়ে যায়। 

সাকিব ও লিটন এর পার্টনারশিপে খুব দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করে বাংলাদেশ দল। শেষ পর্যন্ত তাদের মোহাম্মদ নওয়াজ তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে। ১

৫তম ওভারে দলীয় ১২৯ রানে মোহাম্মদ নওয়াজের বলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের হাত বন্দি হয় লিটন। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ বলে ৬৯ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজ ঘরে ফেরেন লিটন। লিটন ফিরলেও দলকে টানতে শুরু করেন সাকিব আল হাসান। 

সাকিবকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামে আফিফ হোসেন ধ্রুব। ১৮তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ ১৬৭ রানে আউট হয় সাকিব। নাসিম শাহ এর বলে সাদাব খানের হাত বন্দি হয়ে ৪২ বলে ৬৮ রানের বিশাল ইনিংস খেলে সাজ ঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। ৭ চার ও ৩ ছক্কার সাজানো ইনিংস ছিল সাকিবের। 

আফিফ ও ইয়াসির আলী দ্রুত সাজ ঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৩ রান। পাকিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছে নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ ওয়াসিম। 

 ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ তাড়া করতে মাঠে নামে পাকিস্তান দলের দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। আস্তে ধীরে শুরু করলেও রানের গতি বাড়াতে থাকে দুজনেই। বাংলাদেশ দলের বলারদের চাপে রাখে এই দুই ব্যাটার।

৩৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর আজম। বাবর ও রিজওয়ান এর ব্যাটিং তান্ডবে  দ্রত গতিতে রান তুলতে শুরু করে পাকিস্তান। বিনা উইকেটে ১১তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ হয় ১০০ রান। 

১২তম ওভারে হাসান মাহমুদের বলে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন বাবর। ৯টি বাউন্ডারির ঝড়ো ইনিংসে ৪০ বলে ৫৫ রানের সংগ্রহ নিয়ে ফিরতে হয় বাবর আজমকে। বাবর ফিরলে ক্রিজে আসে মোহাম্মদ হায়দার আলী। একই ওভারে কোন স্কোর করার আগেই বোল্ড আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন আলী।

আলী সাজ ঘরে ফিরলে রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামে মোহাম্মদ নওয়াজ। নওয়াজকে সঙ্গে নিয়ে আবারও বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন রিজওয়ান। ৪২ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান।

১৮তম ওভারে রিজওয়ান এর তান্ডব থামান সৌম্য সরকার। সৌম্যের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মাঝ মাঠে নাজমুল হাসান শান্ত হাত বন্দি হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন রিজওয়ান। ৫৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস উপহার দেন পাকিস্তানকে।

রিজওয়ানের বিদায়ের পর দলকে বিজয়ী করতে মরিয়া হয়ে যান মোহাম্মদ নওয়াজ। নওয়াজকে সঙ্গ দিতে মাঠে নামে আসিফ আলী। নওয়াজের ঝড়ো হাওয়াতে বাংলাদেশ বোলার চাপের মধ্যে পড়ে যায়। ৫ চার ১ ছক্কায় ৪০ রান করে দলকে জয় এনে দেয় নওয়াজ।

এক বল বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে ৭ উইকেটে বিশাল জয় পায় পাকিস্তান। ২০ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল মোহাম্মদ নওয়াজ। বাংলাদেশের পক্ষে দুইটি উইকেট পেয়েছে হাসান মাহমুদ। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

বাংলাদেশ – ১৭৩/৬ (২০) 

লিটন দাস ৬৯ 

সাকিব আল হাসান ৬৮

নাজমুল হোসেন শান্ত ১২

নাসিম শাহ ২/২৭

মোহাম্মদ ওয়াসিম ২/৩৩

পাকিস্তান – ১৭৭/৩ (১৯.৫)

মোহাম্মদ রিজওয়ান ৬৯

বাবর আজম ৫৫

মোহাম্মদ নওয়াজ ৪৫

হাসান মাহমুদ ২/২৭

সৌম্য সরকার ১/৬ 

ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top