পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন করাচি কিংস অধিনায়ক বাবর আজম। ইসলামাবাদ ইউনাইটেড একাদশে আসে ১ পরিবর্তন। দলে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বদলে জায়গা পান ওয়াকাস মাকসুদ। করাচি কিংসও ২ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। দলে ইংলিশ অলরাউন্ডার ইয়ান ককবেইন এবং আমের ইয়ামিনের বদলে জায়গা পান আরেক ইংলিশ অলরাউন্ডার জর্ডান থম্পসন এবং মীর হামজা।
১ম ইনিংস :
টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের দুই বিদেশি ওপেনার রাহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং অ্যালেক্স হেলস দলের হয়ে ভালো এক শুরুর আভাস দিলেও ৫ বলে মাত্র ১২ রান করেই ১ম ওভারেই সাজ ঘরে ফিরেন এবং তার বদলি হিসেবে নামা মুহাম্মদ আখলাকও বেশিক্ষণ মাঠে টিকে থাকতে পারেনি।
তারপর, দলের অধিনায়ক শাদাব খান এবং আরেক বিদেশি ওপেনার অ্যালেক্স হেলস দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভার শেষে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড সংগ্রহ করে ২ উইকেটের বিনিময়ে ৪৭ রান।
অ্যালেক্স হেলস ইনিংসের ৯ম ওভারে ১৯ বলে ২৫ রান করে আউট হলে শাদাব খানও ১১তম ওভারে ২৬ বলে ৩৪ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হন। এরপর, ইসলামাবাদ নিয়মিত বিরতিতে লিয়াম ডসন, আজম খান এবং আসিফ আলীদের উইকেট হারাতে থাকলে ফাহিম আশরাফের ১০ বলে ২৯ রানের ছোট ক্যামিও ইনিংসের উপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের সংগ্রহ পায় দলটি।
ফলে, করাচি কিংসের সামনে ১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড়ায়। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে দলের কেউই তেমন বড় ইনিংস খেলতে না পারেননি। কিন্তু, অ্যালক্স হেলস, অধিনায়ক শাদাব খান, আজম খান, আসিফ আলী এবং ফাহিম আশরাফদের ছোট ছোট রানের ফলে ১৯১ রান সংগ্রহ করে দলটি। করাচি কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ ওভার করে ৩০ রান ২ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম।
২য় ইনিংস :
১৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে করাচি কিংসের দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম এবং শারজিল খান দলকে ভালো একটা শুরু এনে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, জিশান জমিরের ৩য় ওভারের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ বলে যথাক্রমে অধিনায়ক বাবর আজম এবং আরেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো ক্লার্ক আউট হলে ধাক্কা খায় করাচি।
তারপর, করাচির হাল ধরেন দলের দুই পাকিস্তানি শারজিল খান এবং সাহিবজাদা ফারহান। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে করাচির সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটের ব্যবধানে ৪৯ রান। দুইজনে মিলে দলকে লক্ষ্যেের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলেও ১০ম ও ১১তম ওভারে সাহিবজাদা ফারহান, শারজিল খান এবং মোহাম্মদ নবি এই তিনজন ২ ওভারের ব্যবধানে আউট হলে আবারও হোঁচট খায় করাচি।
এরপর, করাচির হয়ে চার-ছক্কার ঝড় তুলেন দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম এবং তাকে সঙ্গ দেন দলের আরেক তরুণ অলরাউন্ডার কাসিম আকরাম। ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ২৪ বলে এবং কাসিম আকরাম ২৫ বলে নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন। কিন্তু, ২০তম ওভারের ৩য় বলে ইমাদ ওয়াসিম ২৮ বলে ৫৫ করে ওয়াকাস মাকসুদের শিকার হলে দুইজনের ১০৮ রানের জুটি ভাঙে। শেষ ওভারে করাচির জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। কিন্তু, ওয়াকাস মাকসুদের দূর্দান্ত ডেথ ওভারে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে করাচি কিংসকে মাত্র ১ রানের ব্যবধানে হারায় শাদাব খানের ইসলামাবাদ ইউনাইটেড।
ফলে, সপ্তম আসরে টানা ৭ পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পায় বাবর আজমের করাচি কিংস। করাচির হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেও নিজের দলকে জেতাতে পারেননি ইমাদ ওয়াসিম। অন্যদিকে, ডেথ ওভারের শেষ চার বলে ৩ উইকেট শিকার করে ইসলামাবাদের জয়ের নায়ক হয়ে যান সদ্য দলে জায়গা পাওয়া পেসার ওয়াকাস মাকসুদ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : আসিফ আলী [২৮(১১) এবং ২/২৭ (৩)]
স্কোর :
ইসলামাবাদ ইউনাইটেড : ১৯১/৭ (২০ ওভার)
শাদাব খান ৩৪ (২৬) ; ফাহিম আশরাফ ২৯ (১০)
ইমাদ ওয়াসিম ২/৩০ (৪) ; মীর হামজা ১/৩১ (৪)
করাচি কিংস : ১৯০/৮ (২০ ওভার)
ইমাদ ওয়াসিম ৫৫ (২৮) ; কাসিম আকরাম ৫১* (২৬)
ওয়াকাস মাকসুদ ৩/৩৪ (৪) ; আসিফ আলী ২/২৭ (৪)