rangpur bpl

উড়তে থাকা চট্টগ্রামকে হারালো রংপুর, আসরে টানা নবম হারের মুখ দেখলো ঢাকা!

নিশাম ও হ্যান্ড্রিক্স ঝড়ে চট্টগ্রামের হার ৬০ রানে।

অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত করে ওপেনিংয়ে জুটি গড়ে তোলেন রংপুরের দুই ওপেনার রিজা হ্যান্ড্রিক্স এবং রনি তালুকদার। পাওয়ার-প্লে’তে সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫২ রান।

রনি তালুকদার ২৪ রান করে নিহাদুজ্জামানের শিকার হলেও সাকিব আল হাসানকে সাথে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা রিজা হ্যান্ড্রিক্স। 

সাকিব আল হাসান ও রিজা হ্যান্ড্রিক্স একই ওভারে আউট হলে চার-ছক্কার ঝড় তোলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও দলের আরেক বিদেশি জেমস নিশাম। নিশাম মাত্র ২৬ বলে নিজের ৫০ রান তুলে নেন।

ব্যাটিং নৈপুণ্য ২০ ওভার শেষে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২১১ রানের পাহাড় সমান পুঁজি সংগ্রহ করে রাইডার্সরা। 

বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। ওপেনার জশ ব্রাউনকে ৩য় ওভারেই সাজ ঘরে পাঠান সাকিব। আরেক বিদেশি ব্যাটার টম ব্রুস ৯ এবং তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু ফিরেন মাত্র ১৪ রান করে। 

আইরিশ অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারও দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ওপেনার সৈকত আলী শেষ পর্যন্ত দলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। শেষের দিকে সৈকত আলী ৬৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন।  

অধিনায়ক শুভাগত হোমের বিফল চেষ্টা চ্যালেঞ্জার্সের হারের ব্যবধান কমাতে সাহায্য করে। ১৫৮ রানে চট্টগ্রামের ইনিংস থামলে ৫৩ রানের জয় পায় রংপুর রাইডার্স। আসরে টানা পঞ্চম জয় নিয়ে পয়েন্টস টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে তিস্তা পাড়ের দলটি।

চট্টগ্রামের বিপক্ষে এই ম্যাচে ব্যাট হাতে মাত্র ২৬ বলে ৫১ রান ও বোল হাতে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হন রংপুরের কিউই অলরাউন্ডার জেমস নিশাম। 

বরিশালের বিপক্ষে ৯ম হারে বিদায় নিশ্চিত দুর্দান্ত ঢাকার।

চতুর্থ জয়ের লক্ষ্যে টসে জিতে আহমেদ শেহজাদকে সাথে নিয়ে ওপেনিংয়ে ইনিংসের সূচনা করেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

কিন্তু, দলকে ভালো শুরু উপহার দিতে পারেননি ২ ওপেনার। ২য় ওভারে শরিফুল ও ৩য় ওভারে তাসকিনের শিকার হন তামিম ও শেহজাদ।

শেহজাদকে ফিরিয়ে একই ওভারে ২য় শিকারে মুশফিকের উইকেট তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়লেও এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি “সাউদার্ন আর্মি” খ্যাত দলটির।

সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ভালোভাবেই এগোতে থাকে দলটি। যেখানে, দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।

রিয়াদ নিজের ব্যক্তিগত ৭৩ এবং ১৩৯ রানের জুটি ভেঙে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ক্রিসে ছিলেন সৌম্য। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শোয়েব মালিক।

ফলে, সৌম্য সরকারের অপরাজিত ৭৫ ও শোয়েব মালিকের ১৯ রানে স্বাগতিকদের ১৯০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ফরচুন বরিশাল।

১৯০ রানের জবাব দিতে নামা দুর্দান্ত ঢাকা শুরুতেই হোঁচট খায়। সাব্বির হোসেনের ফেরার রেশ কাটতে না কাটতেই একে একে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দেন নাঈম শেখ ও সাইফ হাসান। 

মেহরবকে নিয়ে দলের হয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বিদেশি অ্যালেক্স রস। মেহরব ২৮ রানে নিজের ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলে পরের ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন চাতুরাঙ্গা ডি সিলভাও।

দলের অভিজ্ঞদের ন্যায় ব্যর্থ হন তরুণ তাহজিবুল ইসলাম। দলের বাকিদের আসা যাওয়ার মধ্যেই একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যান অ্যালেক্স রস। অর্ধ শতক তুলে সাইফুদ্দিনের কাছে উইকেট হারান এই অজি।

এরপর, ঢাকার হয়ে আর কেউই পারেননি হাল ধরতে। লাহিরু সামারাকুন, তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের উইকেট তুলে নিয়ে ৪০ রানের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এলো দলটি।

দলের জয়ের দিনে ৭৫*(৪৮) অনবদ্য এক ইনিংসে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সৌম্য সরকার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top