কিটো ডায়েট কি

কিটো ডায়েট কি? এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানুন!

কিটো ডায়েট কি তা অনেকেই হয়তো জানেন না। এটি অনেক কার্যকর একটি ডায়েট যা মানুষের ওজন কমাতে সহায়তা করে। কিটো ডায়েটের মাধ্যমে মানুষ তাদের বাড়তি ওজনকে ঝড়িয়ে ফেলতে সক্ষম হচ্ছে। তাই কিটো ডায়েট সম্পর্কে জানতে লেখাটি পড়ে ফেলুন এখনি। 

ম্যাজিক স্লিমিং টি কিনুন আমাদের শপ থেকে…

কিটো ডায়েট কি?

এই কিটো ডায়েট হচ্ছে এক ধরনের খাদ্যভ্যাস যেখানে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা হয়। এই ডায়েটে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় খাবারের মাধ্যমে আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় ক্যলোরির চাহিদা মেটানো হয়। ওজন মাপার অরিজিনাল মেশিন কিনুন বিডিশপ থেকে!

কিটো ডায়েটের কাজ হল কার্বোহাইড্রেটকে পুড়িয়ে ফেলা। চর্বি পোড়ানো শেষ হলে শরীরে জমানো কার্বোহাইড্রেট পোড়ানো শুরু করে। কিটো ডায়েটে অল্প ব্যায়াম করেও দ্রুত ওজন কমতে থাকে। কিটো ডায়েটের খাদ্যতালিকায় কার্বহাইড্রেট কম ও প্রোটিন বেশি থাকে। এবং ফ্যাটের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশী। 

মূলত কিটো ডায়েটের ক্ষেত্রে দেহের ক্যালরির উৎসকে মোট তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। তাই  কিটো ডায়েটে টোটাল ক্যালোরির ফ্যাট  ৭০%, প্রোটিন ২৫% আর কার্ব থাকে ৫%। এই ডায়েটের খাদ্য তালিকায় খাবার গুলো এই অনুপাতে রাখা হয়।

কিটো ডায়েটের প্রকারভেদ

কিটো ডায়েট ৪ ধরনের। যেমন:

স্ট্যান্ডার্ড কিটোজনিক ডায়েট: স্ট্যান্ডার্ড কিটোজনিক ডায়েটে কার্ব ৫%, প্রোটিন ২৫ % এবং ফ্যাট ৭০% থাকে। এটি ওজন কমাতে বেশ কার্যকর এবং জনপ্রিয়। 

সাইক্লিক্যাল কিটোজনিক ডায়েট: এটি অনেক স্ট্রিক্ট একটা ডায়েট। তবে এতে সপ্তাহে দুদিন চাইলে অতিরিক্ত শর্করা খেতে পারেন। 

টার্গেটেড কিটোজনিক ডায়েট: এই ডায়েটে ওয়ার্কআউট করার আগে অথবা পরে শর্করা খাওয়া যেতে পারে। 

হাই প্রোটিন কিটো ডায়েট: এটা অনেকটা স্ট্যান্ডার্ড কিটো ডায়েটের মতোই, শুধু প্রোটিন ২৫% থেকে বেড়ে ৩৫% হয়ে যায়। এটাতে ফ্যাট ৬০%, প্রোটিন ৩৫% আর ফ্যাট ৫% থাকে। বডি বিল্ডার বা এথেলেটরা এই ডায়েট করে থাকেন। জেনে নিন হাঁটার নানাবিধ উপকারিতা সমূহ!

কিটো ডায়েট কী সবার জন্য?

আজকাল অনেকেই কিটো ডায়েট করছেন। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া যেকোনো ডায়েটই হতে পারে ক্ষতিকর। কিটো ডায়েট কি তা না বুঝে এই ডায়েট করা উচিত নয়। কেননা কিটো ডায়েট সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। 

মূলত, কিটো ডায়েট এমন এক ধরনের রোগীদের জন্য যাঁদের মস্তিষ্কে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি। এটি অতীতে  মৃগী বা এপিলেপসি রোগে চিকিৎসায় দেওয়া হতো। তাই কিটো ডায়েট অন্যদের ক্ষেত্রে  কখনো বা ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। কিটো ডায়েট শুরুর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।  

ভিডিওঃ কিটো ডায়েট কি? এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানুন।

কিটো ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

যখন কেউ খুব কম কার্বোহাইড্রেট/ শর্করা খেতে থাকবে তার কিছু সমস্যা হতে পারে। অধিক চর্বি ও প্রোটিনের জন্য ডায়রিয়া এবং  কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আবার ডায়রিয়ার ফলে শরীর খুব বেশী দুর্বল হয়ে যায়। 

এছাড়া বেশি প্রোটিন ও চর্বির জন্য ত্বকে ফুসকুড়ি  ওঠা, ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।  এজন্য নিজে নিজে পরিকল্পনা করে কিটো ডায়েট করা ক্ষতিকর।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

পরিশেষ

সুস্থ থাকতে ডায়েট শুরু করার আগে কিটো ডায়েট কি তা জেনে নেয়া উচিত।  পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, হালকা ব্যায়াম, হাঁটা চলার অভ্যাস গড়ে তোলা, পানি পান, সঠিক ঘুম ওজন কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। পাশাপাশি কিটো ডায়েট যদি আপনার জন্য উপযুক্ত হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শ মতে এটি শুরু করতে পারেন। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

ডায়েট নিয়ে আরও পড়ুন…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top