কিসমিস খেলে কি হয় – মূলত কিসমিস হলো শুকনো আঙুর। আঙুর শুকনোকরণ প্রক্রিয়ায় এতে থাকা পুষ্টি ও শর্করা ঘন হয়ে যায়। তাই কিসমিস বেশ সুপুষ্ট এবং ক্যালোরিপূর্ণ। আমাদের দেশে কিসমিস অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রাকৃতিক রন্ধন উপাদান। পিঠা পায়েস ফিরনী পোলাও সহ এমন নানা আয়জনে কিসমিসের উপস্থিতি পরিলক্ষিত।
সকল ধরনের অর্গানিক ফুড কিনুন আমাদের শপ থেকে!
কিসমিসের উৎপত্তি হয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যে। প্রাচীনকালে এটি মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার হতো। তবে জানেন কি কিসমিস খেলে কি হয় ? কিসমিস দ্রুত রক্ত বৃদ্ধি করে, হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে, আর অতিরিক্ত ওজনও কমায়। এছাড়া খাদ্যে বিষক্রিয়ার প্রতিকাররুপে কিসমিসের ঐতিহাসিক ব্যবহার রয়েছে।
Table of Contents
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম –
সাধারণত, পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু কিসমিস খেতে বিশেষ কোনো ধরা-বাঁধা নিয়মের প্রয়োজন নেই। তবে ভোরবেলায় খালিপেটে রাত্রে ভিজিয়ে রাখা ২১টি কিসমিস ও এর পানি অত্যন্ত উপাদেয় এবং ধীশক্তি বৃদ্ধিতে ঐশী ক্ষমতা সম্পন্ন ।
রাতে এক মুষ্ঠি কিসমিস এক কাপ স্বাদু পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং ভোরে উঠে পানি সহ কিসমিসগুলো খেয়ে ফেলুন। এতে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হবে এবং লিভার/যকৃৎ পরিষ্কার থাকবে।
কিসমিস খেলে কি হয় –
কিসমিস থেকে আমরা পাই পটাসিয়াম, কারবোহাইড্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, প্রোটিন,আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম, আন্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন বি-৬ এর মতো গুরুত্বপূর্ণ সব উপাদান। এই ছোট্ট শক্তিশালী ফলটি মানব দেহের হজম ও পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে।
>> ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার এবং এর অভাবজনিত রোগসহ বিস্তারিত!
রক্তে অতিমাত্রায় এসিডিটি ও টক্সিসিটি থাকলে এসিডোসিস দেখা দেয়; আর এর কারণে বাত, চর্মরোগ, হৃদরোগ, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। কিসমিস ক্ষতিকর এসিডিটি কমায়।
কিসমিসের আরেক জাদুকরী উপাদান – বোরন। এটি ধ্যান বাড়াতে সহায়তা করে, ফলে কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তুলতেও এটির ভূমিকা অতুলনীয়।
রক্তশূণ্যতার কারণে অবসাদ, শারীরিক দুর্বলতা, বিষন্নতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। কিসমিসে বিদ্যমান লৌহ উপাদান/আয়রন রক্তশূণ্যতা দূর করে।
কিসমিসের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দেহের কোষগুলকে “ফ্রী র্যাডিক্যাল ড্যামেজ” এর হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাঁধা প্রদান করে। এতে থাকা ফাইবার/আঁশ কোলোরেক্টারাল ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
চোখের যত্নে কিসমিস স্রষ্টার অনন্য দান। নিয়মিত কিসমিস খাওয়া বৃদ্ধ বয়সে অন্ধত্ব হতে মুক্তির অসামান্য উপাখ্যান হতে পারে।
কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম আমাদের দাঁত ও হাড় মজবুত রাখতে বেশ কার্যকর।
এবং কিসমিস প্রচন্ড ব্যাক্টেরিয়ারোধী, তাই এটা ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং জ্বর নিরাময় করে।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
কিসমিস খেলে কী ওজন কমে?
জী হ্যাঁ। যেহেতু কিসমিস অত্যন্ত ফাইবার সমৃদ্ধ, এতে আছে এমন শক্তি যা ওয়েইট লস হরমোন “লেপ্টিন” এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে ক্ষুধা কমে যায় ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রিত থাকে; আর আপনি হয়ে ওঠেন সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সুঠাম দেহের অধিকারী ।
ওজন কমানোর টিপস সমূহ জেনে নিন!
কিসমিস খেলে কি মোটা হওয়া যায়?
কিসমিস খুবই ঘন ক্যালোরি যুক্ত ও এতে ন্যাচারাল সুাগার থাকায় এটি প্রাক্রিতিকভাবে আপনাকে ওজন বাড়াতেও সাহায্য করে। এর মানে মোটা বা চর্বিযুক্ত শরীরের অধিকারী হওয়া নয়; বরং কিসমিস আপনার দেহের পেশী বৃদ্ধি করে আপনাকে আকর্ষণীয় করে তুলবে।
ওজন বাড়ানোর টিপস সমূহ জেনে নিন!
পরিসমাপ্তি:
কিসমিস খেলে কি হয় তা নিয়ে নিশ্চয় আর আমাদের কোন সন্দেহ রইলো না। কিসমিস সম্পূর্ণরুপে প্রকৃতি থেকে পাওয়া এক অসাধারণ পুষ্টি উৎস। যা আপনার ও আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় অগ্রগণ্য হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রতিদিন কিসমিস খান, ও এগিয়ে যান।