গলা ব্যথা একটি চিরাচরিত শারীরিক সমস্যা। গলা ব্যথার বিভিন্ন কারণ হয়ে থাকে। গলা ব্যথার সমস্যা মূলত বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং ঋতু পরিবর্তনের জন্য হয়ে থাকে। গলা ব্যথার উপসর্গ ছোট বড় সকল বয়সী মানুষের মধ্যে দেখা যায়। মূলত, গলা ব্যথার ঔষধ কি?
গলা ব্যথা সাধারণত একটি স্বাভাবিক সমস্যা হলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি অনেক জটিল রোগের পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। গলা ব্যথার সঠিকভাবে চিকিৎসা করার জন্য গলা ব্যথার সঠিক কারণ নির্ণয় করা খুবই জরুরী।
আজ আমরা আলোচনা করব মূলত গলা ব্যথার সঠিক কারণ, লক্ষণ গুলো কি কি হতে পারে এবং কারণ অনুযায়ী গলা ব্যথায় কি ধরনের চিকিৎসা বা ঔষধ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
Table of Contents
গলা ব্যথার প্রধান লক্ষণ সমূহ
গলা ব্যথার ধরন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। প্রধানত গলা ব্যথার লক্ষণ সমূহ বিবেচনা করেই আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে থাকি। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর গলা ব্যথার মূল কারণ গুলো বিবেচনাযোগ্য। গলা ব্যথার মূল কারণগুলো বিবেচনা করেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ সেবন করা হয়ে থাকে। গলা ব্যথার প্রধান লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা যাক-
- জ্বর, সর্দি ও হাঁচির সাথে সাথে গলা ব্যথা
- গলার খুসখুসানি বা গলার চুলকানির সাথে গলা ব্যথা
- গলা ফুলে গিয়ে গলা ব্যথা
- দুর্ঘটনা জনিত গলা ব্যথা
মূলত গলা ব্যথার কারণ নির্ণয় এবং সঠিক ঔষধবিভিন্ন কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে। কিন্তু, যেসব কারণে গলা ব্যথা বেশি হয়ে থাকে সে কারণগুলির নিম্নলিখিত-
- টনসিলের সমস্যা
- ডিপথেরিয়া জনিত সমস্যা
- ভাইরাস জনিত সমস্যা যেমন চিকেন পক্স এবং হাম
- বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
- এলার্জি জনিত সমস্যা
- অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, এবং মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া
গলার ব্যথার ঔষধ কি? চলুন জেনে নেই গলার ব্যথার ধরন অনুযায়ী কি কি ধরনের চিকিৎসা বা ঔষধ প্রযোজ্য
ব্যাথার ঔষধ
সাধারণত গলার ব্যথার ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। আপনার যদি স্বাভাবিক কোনো গলা ব্যাথা বা ভাইরাস জনিত কারণে গলা ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে তা পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি স্থায়িত্ব করবে না। এক্ষেত্রে আপনার জন্য বিশেষ কোনো ওষুধের প্রয়োজন হবে না। এক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে স্বাভাবিক ব্যথার ওষুধ দিতে পারেন। দুই থেকে তিন দিনেই ব্যথার ওষুধ সেবন করলেই আপনার গলা ব্যথা ভাল হয়ে যাবে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করা একদম ঠিক হবে না।
জটিল ব্যথায় এন্টিবায়োটিক
আপনার গলা ব্যথা যদি জটিল আকার ধারণ করে অর্থাৎ এটি এক সপ্তার মধ্যে চলে না যায় তাহলে বুঝতে হবে খারাপ কোন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়েছে। এক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেবেন। অর্থাৎ আপনাকে নিয়ম করে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।
আপনি যদি এন্টিবায়োটিক কোর্স পুরোপুরি সম্পূর্ণ না করেন তাহলে আপনার এই ব্যাকটেরিয়া জনিত গলা ব্যথা আবার কিছুদিন পরে ফিরে আসতে পারে। তাই আপনার এই সংক্রমিত গলা ব্যথা টা পুরোপুরি সারতে কোর্স সম্পূর্ণ করুন।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
হোমিওপ্যাথি ঔষধ
গলা ব্যথার চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। ডাক্তাররা হোমিওপ্যাথি ঔষধ গুলি গলা ব্যথার ধরন অনুযায়ী সেবন করতে বলে থাকেন। গলা ব্যথার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় কিছু ঔষধ হচ্ছে বেলেডোনা, হিপার সালে পি এইচ, ফসফরাস, চেসিস, ব্রায়োনিয়া, ড্রসেরা, ইত্যাদি। সকল ঔষধ গুলো পর্যায়ক্রমে গলার ভেতরে ফুলে যাওয়া, গলার খুসখুসে ভাব, গলার শুষ্ক ব্যথার সাথে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যার জন্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার রা দিয়ে থাকেন।
পরিশেষ মন্তব্য
গলার ব্যথার ঔষধ কি? আমাদের উপরের আলোচনা থেকে ইতিমধ্যেই আমরা জেনে গেছি যে গলা ব্যথার জন্য আসলে কি কি ধরনের ঔষধ সেবন করা হয়ে থাকে। তবে সকল ঔষধ সব ধরনের গলার ব্যথার জন্য প্রযোজ্য নয়। তাই গলা ব্যথার সঠিক কারণগুলো বিবেচনা করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!