আসরের ২৮তম ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার কঠিন সমীকরণে করাচি কিংসের মুখোমুখি হয় কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স।
প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্সকে এই ম্যাচে অবশ্যই বড় একটা ব্যবধানে জিততে হবে এবং তাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে রাতের ম্যাচের, যেই ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে মুলতান সুলতান্স। সেই ম্যাচে মুলতান সুলতান্স, ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে হারালেই প্লে-অফের খেলা নিশ্চিত করবে কোয়েট্টা।
করাচির বিপক্ষে এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স দলে আনে ৪ পরিবর্তন। কোয়েট্টার দলে জায়গা পান জেমস ভিন্স, হাসান খান, আশির কুরেশি এবং খুররাম শেহজাদ। করাচি কিংস দলেও আসে ২ পরিবর্তন। দলে মোহাম্মদ নবি এবং ক্রিস জর্ডানে জায়গায় আসেন উমেইদ আসিফ এবং টম লেমনবাই।
১ম ইনিংস :
টস জিতে ব্যাটিং করতে নামেন কোয়েট্টার দুই বিদেশি ওপেনার উইল স্মিদ এবং জেসন রয়। দুইজনই দলকে ভালো একটা শুরুর আভাস দিলেও ইনিংসের ৩য় ওভারের শেষ বলেই উইল স্মিদ ১২ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়ে যান। তারপর, দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার উইল স্মিদ এবং আরেক বিদেশি ব্যাটসম্যান জেমস ভিন্স।
পাওয়ার-প্লের ৬ ওভার শেষে কোয়েট্টার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময়ে ৪৬ রান। দুইজনে মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এবং ইনিংসের ১২তম ওভারে জেসন রয় ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন। এরপরের ওভারেই জেমস ভিন্স ২৪ বলে ২৯ রান করে লুইস গ্রেগরির শিকার হন এবং তার বদলি হিসেবে নামা উমর আকমালও বেশিক্ষণ মাঠে স্থায়ী হতে পারেননি।
অন্যদিকে, দলকে একাই এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন জেসন রয়। ইনিংসের শেষ ওভারের শেষের দিকে জেসন রয় ৬৪ বলে ৮২ রান করে আউট হলে ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স। ফলে, করাচি কিংসের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১৭৬ রানের।
কোয়েট্টার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ বলে ৮২ রানের দলের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন জেসন রয়। করাচি কিংসের হয়ে ১ করে উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম, লুইস গ্রেগরি, মির হামজা এবং উসমান শিনওয়ারি।
২য় ইনিংস :
১৬৭ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে করাচি কিংসকে এক দারুণ সূচনা এনে দেন দলের অধিনায়ক বাবর আজম এবং বিদেশি ওপেনার জেমস ক্লার্ক। দলের দুই ওপেনারের ঝড়ে ইনিংসের উপর ভর করে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে করাচি কিংস সংগ্রহ পায় বিনা উইকেটে ৫১ রান। করাচির দুই ওপেনার দলকে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
কিন্তু, ৮৭ রানের জুটি করে দলের অধিনায়ক বাবর আজম ইনিংসের ১১তম ওভারে শেষের দিকে ৪৩ রান করে আউট হলে তার বদলি হিসেবে নামা শারজিল খানও বেশিক্ষণ মাঠে টিকে থাকতে পারেননি। অন্যদিকে, জেমস ক্লার্ক ৩৪ বলে নিজের ফিফটি তুলে নেন। তারপর, ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৩৯ বলে ৫২ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের শিকার হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন।
এরপর, নিয়মিত বিরতিতে কাসিম আকরাম, রোহাইল নাজির, লুইস গ্রেগরি, টম লেমনবাই এবং ইমাদ ওয়াসিম-রা আউট হতে থাকলে ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে করাচির ইনিংস থামে। ফলে, ২৩ রানের জয় পায় কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স এবং প্লে-অফের আশা বাঁচিয়ে রাখে তারা।
করাচি কিংসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেললেও দলকে ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, কোয়েট্টার হয়ে ৪ ওভার করে সর্বোচ্চ ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেন দলে সদ্য জায়গা পাওয়া তরুণ পেসার খুররাম শেহজাদ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ : খুররাম শেহজাদ [ ৪/২২ (৪ ওভার) ]
কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়াটর্স : ১৬৬/৪ (২০ ওভার)
জেসন রয় ৮২(৬৪); জেমস ভিন্স ২৯(২৪)
ইমাদ ওয়াসিম ১/২৭ (৪ ওভার); লুইস গ্রেগরি ১/২২ (৩ ওভার)।
করাচি কিংস : ১৪৩/৮ (২০ ওভার)
জো ক্লার্ক ৫২(৩৯); বাবর আজম ৩৬(৩৪)
খুররাম শেহজাদ ৪/২২ (৪ ওভার); নাসিম শাহ ২/১৪ (৪ ওভার)