বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামে ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ফেভারিটের তালিকায় থাকা দুই দলই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে ছিল প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। রাউন্ড অফ ১৬’তে পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় দিদিয়ের দেশম্সের শিষ্যরা।
যেখানে, ৫৬ বছরের শিরোপা খরা কাঁটাতে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারানোর কোনো বিকল্প ছিল না থ্রি লায়ন্সদের। মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে উভয় দল।
প্রথমার্ধের শুরু থেকে বল দখলের লড়াইয়ে সমান তালে লড়াই করতে থাকলে দুই দল। গোলের জন্য ভালো সুযোগের সন্ধানে ছিল এমবাপ্পে, জিরুডরা। ১৭ মিনিটে গ্রিজম্যানের বাড়ানো বলে দুর্পাল্লার শটে ইংল্যান্ড দলের শক্ত ডিফেন্স লাইন ভেঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান তরুণ মিডফিল্ডার অরেলিয়েন শুয়ামেনি। পিছিয়ে পড়ে বলের উপর আধিপত্য বিস্তার করে আক্রমণ চালাতে শুরু করে ইংল্যান্ড।
কিন্তু, ফ্রান্স গোলকিপার হুগো লরিসের বাঁধায় সমতায় যাওয়া হয়নি তাদের। মাঝে কিছু ভালো কাউন্টার এ্যাটকের সুযোগ তৈরি করলেও আর গোলের দেখা পায়নি ফ্রান্সও। ফলে, ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে যায় হ্যারি কেইনরা।
ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা পাকাপোক্ত করার লক্ষ্যে গোল ব্যবধান বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে লেস ব্লুসরা। যেখানে, বিদায় এড়িয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে সাবেক একবারের শিরোপা জয়ীরা। এবার বল পজেশনে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ধার বাড়াতে থাকে ইংল্যান্ড।
৫৪ মিনিটে এসে বুকায়ো সাকাকে করা শুয়ামেনির ফাউলে পেনাল্টি পায় গ্যারেথ সাউথগেটের দল। স্পটকিক থেকে দলকে সমতায় ফেরাতে কোনো ভুল করেননি দলের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। এরপর, আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা।
৭৮ মিনিটে গোল করে ফ্রান্সকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান ফ্রান্সের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভার জিরুড। এর ৪ মিনিট পরই শুয়ামেনির করা একই রকম ভুলে ম্যাসন মাউন্টকে ফাউল করে থ্রি লায়ন্সদের আবারও পেনাল্টি উপহার দেন ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ।
কিন্তু, এবার আর কাজের কাজ করতে পারেননি টটেনহাম তারকা হ্যারি কেইন। যার ফলে, নির্ধারিত সময় ও যোগ করা সময় শেষে আর কোনো দলই গোলের দেখা না পেলে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ফ্রান্স।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর রাত ১ টায় স্পেন ও পর্তুগালকে বাদ করে সেমিফাইনালে উঠা মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফ্রান্স।