হার্নিয়া রোগ কি – শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে হার্নিয়া একটি প্রচলিত সমস্যা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত যেকোনো বয়সে হার্নিয়া হতে পারে। তাই আমাদের সকলের জানা উচিত হার্নিয়া রোগ কি? আসুন তাই হার্নিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাক।
Table of Contents
হার্নিয়া রোগ কি?
এটি একটি অন্ত্রের রোগ। হার্নিয়া হলে পেটে ছিদ্র হয় এবং মধ্যস্থ খাদ্য নালী পেটের দুর্বল অংশ দিয়ে ফোলা আকারে বের হয়ে আসে। একেই হার্নিয়া বলে। এই রোগটি নারী এবং পুরুষ উভয়েরই হতে পারে।
হার্নিয়া কে সার্জিক্যাল রোগও বলা হয়। কারণ অপারেশন ছাড়া এই রোগ সারা যায় না। এটি একটি সাধারণ রোগ। হার্নিয়া রোগ কী এবং কেন হয় তা জানতে পড়তে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
ভিডিওঃ অন্ডকোষের ৬টি রোগ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
হার্নিয়া হওয়ার কারণ
মূলত হার্নিয়া দুটি কারণে হয়ে থাকে। একটি হলো জন্মগত ত্রুটির কারণ এবং আরেকটি জন্মের পর অন্যান্য যেকোনো কারণে হতে পারে। কোন কারণে অস্ত্রপচার করা হলে সেখানে যদি দুর্বল অংশ সৃষ্টি হয় তাহলেও হার্নিয়া দেখা দিতে পারে।
>> গলগন্ড রোগ কেন হয় জানেন কি?
আবার দীর্ঘমেয়াদে কফ অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা হার্নিয়া রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দীর্ঘদিন যাবত এরকম হলে পেটের মধ্যস্ত খাদ্যনালী বের হয়ে আসতে পারে। একেই আমরা হার্নিয়া বলি এবং এগুলোকেই হার্নিয়ার কারণ হিসেবে গন্য করা হয়। এছাড়াও নিম্নোক্ত কারণে হার্নিয়া হতে পারে।
- অতিরিক্ত হাঁচি।
- পুরনো কাশি।
- পেশীর অতিরিক্ত ব্যবহার।
- ভারি বস্তু উঠানোর কারণে হার্নিয়া হতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় হার্নিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে।
- অতিরিক্ত স্থুলতার কারণে হার্নিয়া হয়ে থাকে।
- বয়স বাড়ার কারণে হার্নিয়া হতে পারে।
- মাদক দ্রব্যের ব্যবহার ইত্যাদি কারণে হার্নিয়া দেখা দেয়।
চলুন এবার হার্নিয়া রোগের উপসর্গগুলো জানা যাক।
হার্নিয়ার উপসর্গ
হার্নিয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ গুলি বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন-
- পেটের যেকোনো অংশ ফুলে যায় এবং সেখান থেকে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
- কোন কিছু না খাবার পরও পেট ভরা অনুভব করা।
- অরুচি এবং বমি বমি ভাব।
- কুঁচকি এবং নাভীর চারপাশে ফুলে যাওয়া।
- উরুর গোড়া ফুলে যাওয়া।
- হটাৎ শরীরে জ্বর চলে আসা।
- শরীরের কোন স্থান আক্রান্ত হলে তার আসেপাশের পেশী ফুলে যাওয়া।
- পূর্বে অস্ত্রপচার হয়েছে এমন জায়গা ফুলে যাওয়া।
- দীর্ঘদিন যাবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় হওয়া।
- নিচু হয়ে কোন কাজ করার সময় ব্যথা অনুভব করা।
এবার জেনে নিন হার্নিয়া কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়।
হার্নিয়া প্রতিরোধ করার উপায়
ঘরে বসেই হার্নিয়া প্রতিরোধ করা যায়। মূলত এটি প্রতিরোধের উপায় আমাদের হাতেই। দেখে নিন কীভাবে হার্নিয়া প্রতিরোধ করবেন।
- দেহের ওজন সঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
- পরিমিত খাবার গ্রহণ করা।
- খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমানে টাটকা শাক-সবজি এবং ফলমূল রাখা।
- কোমর বাঁকা করে কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকা।
- শরীর নিচু করে কোনো কাজ করা যাবে না।
- দ্রুত হাঁটাচলা থেকে বিরত থাকা
- ভারি জিনিস ওপরে ওঠানামা করা থেকে বিরত থাকা।
- দীর্ঘস্থায়ী কাশি থাকলে, চিকিৎসা শুরু করুন।
- মল ত্যাগের সময় চাপ প্রয়োগ না করা।
যদি হার্নিয়ার লক্ষণগুলি দেখা দেয় তবে, জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন চিকিৎসা করুন।
আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!
শেষ কথা
হার্নিয়া রোগের একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন। বিভিন্ন ধরনের হার্নিয়ার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন প্রকারের অস্ত্রপচার করা হয়ে থাকে।
সুতরাং, হার্নিয়া রোগ কি জানা গেল। তবে আপনার হার্নিয়া যে প্রকারের হোক না কেন, যদি শারীরিক কোন সমস্যা না হয় তাহলে অস্ত্রপচার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যারা গুরুতর অসুস্থ এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে অপারেশন না করায় বাঞ্ছনীয়।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com