আফগানিস্থানকে হোয়াইট ওয়াশ

আফগানিস্থানকে হোয়াইট ওয়াশ করলো টাইগাররা!

বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্থানের দ্বিতীয় টি টুয়েন্টি ম্যাচ আজ অনুষ্ঠিত হয় সিলেট ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। প্রথম ম্যাচে অসাধারণ জয়ে ১ – ০ তে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের সফলতায় এই ম্যাচেও টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সাকিব আল হাসান। 

আফগানিস্থানের পক্ষে ব্যাটিংয়ে ওপেনিংয়ে নামে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। তাসকিনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করলেও প্রথম ওভারের ৫ম বলেই গুরবাজকে সাজঘরে ফেরায় তাসকিন।

৫ বলে ৮ রানের ইনিংস নিয়ে সাজঘরে ফিরে গুরবাজ। পরবর্তী ওভারে আবারও বলে এসে আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাইকেও সাজঘরে ফেরায় তাসকিন। ৫ বলে ৪ রান করে তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে হযরতউল্লাহ। 

এরপর দলের হাল ধরার চেষ্টা করে ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। তবে বৃষ্টির জন্য দ্রুতই খেলা স্থগিত হয়। স্থগিত শেষে ম্যাচ নির্ধারণ করা হয় ১৭ ওভারে। এবার জাদরান ও নবী নেমেই রান এগিয়ে নিতে শুরু করে। তবে তাদের ইনিংস থামিয়ে দেয় মুস্তাফিজুর রহমান। ২২ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে মুস্তাফিজের বলে লিটনের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে নবী।

এরপরের ওভারেই সাকিব তুলে নেয় ইব্রাহিম জাদরানকে। ২৭ বলে ২২ রানের ইনিংস খেলে আফিফ হোসেনের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে ইব্রাহিম জাদরান। একই ওভারে নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও বোল্ড করে সাকিব। মাত্র ৫ রান নিয়েই ফিরতে হয় নাজিবুল্লাহকে। 

শেষ দিকে দলকে এগিয়ে নিতে শুরু করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও করিম জানাত। শেষে ওমরজাইকে থামায় মুস্তাফিজুর রহমান। ২১ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে ছক্কা হাঁকাতে নিয়ে শামীম হোসেনের হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে ওমরজাই। শেষ ওভারে করিম জানাতও ১৫ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে তাসকিনের বলে শান্তর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে। 

এতে নির্ধারিত ১৭ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্থানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৬ রান। ৩ বলে ৬ রান করে অপরাজিত ছিল রশিদ খান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করে তাসকিন আহমেদ এবং দু’টি করে উইকেট শিকার করে মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। 

১১৭ রানের লক্ষ্যে নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ক্রিজে আসে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। প্রথম থেকে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করে লিটন। প্রথম ওভারেই ২ চার ও দ্বিতীয় ওভারে ৩ টি চার হাঁকায়। দুই ওপেনারের অসাধারণ জুটিতে দ্রুত রান এগোতে থাকে বাংলাদেশের। পরে রানের গতি একটু কমলেও ঠিকমতোই চলছিল রানের গতি।

অবশেষে ওপেনিং জুটিকে থামাতে সক্ষম হয় মুজিবুর রহমান। ৩৬ বলে ৩৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে লিটন দাস। একই ওভারে আরেক ওপেনার আফিফকেও তুলে নেয় মুজিব। ২০ বলে ২৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে সাজঘরে ফিরে আফিফ। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত নেমে পরের ওভারেই আউট হয়। ৬ বলে ৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হয় শান্ত। 

এরপর দলের হাল ধরে তৌহিদ হৃদয় ও সাকিব আল হাসান। তাদের অসাধারণ জুটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। জয়ের কাছাকাছি গিয়ে আউট হয় তৌহিদ হৃদয়। ১৭ বলে ১৯ রানের ইনিংস খেলে আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর বলে মোহাম্মদ নবীর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে তৌহিদ হৃদয়। হৃদয় আউট হলে জয় পর্যন্ত সাকিবকে সঙ্গ দেয় শামীম হোসেন পাটোয়ারী। 

তাদের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। ১১ বলে ১৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিল সাকিব আল হাসান। আফগানিস্থানের পক্ষে দু’টি করে উইকেট শিকার করে মুজিবুর রহমান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এতে ২ – ০ তে সিরিজে জয় পায় বাংলাদেশ। 

বোলিং ও ব্যাটিংয়ে অসাধারণ পারফরমেন্সে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হয়েছে সাকিব আল হাসান। একই সাথে প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজও হয়েছে সাকিব। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

আফগানিস্থান – ১১৬/৭ (১৭)

আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৫ (২১)

ইব্রাহিম জাদরান ২২ (২৭)

করিম জানাত ২০ (১৫)

তাসকিন আহমেদ ৩ – ৩৩ – ৪

সাকিব আল হাসান ২ – ১৫ – ৩

মুস্তাফিজুর রহমান ২ – ৩০ – ৩

বাংলাদেশ – ১১৯/৪ (১৬.১)

লিটন দাস ৩৫ (৩৬)

আফিফ হোসেন ২৪ (২০) 

তৌহিদ হৃদয় ১৯ (১৭)

আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২ – ১৭ – ৩

মুজিবুর রহমান ২ – ২৮ – ৪

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top