গতকাল ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে মুখোমুখি হয় উইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। টেস্টের ব্যর্থতার পর আশা ছিলো টি২০তে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু সে আশায় গুঁড়েবালি।
উইন্ডিজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেনার মেয়ার প্থম থেকেই মারমুখি ছিলেন। দলীয় ১৮ রানে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেট যায়। ২ বাউন্ডারি আর ১ ওভার-বাউন্ডারিতে ৯ বলে ১৭ রান করা মেয়ারকে ফেরান মাহেদি বোল্ড আউট করে। অতঃপর ২৬ রানে সামারাহ ব্রুকস কে ০ রানে ফেরান সাকিব ক্যাচ আউটের মাধ্যমে।
বাংলাদেশ প্রথম দিকে বেশ ছন্দে থাকলেও ব্রেন্ডন কিং আর নিকোলাস পুরান জুটি বাধলে তা বিপদের কারন হয়। দুজনের জুটি গড়ায় ৭৪ রান অবধি। দলীয় ১০০ রানে পুরানকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন লেগ-বিফরের মাধ্যমে। আউটের আগে পুরান সংগ্রহ করেন ৩০ বলে ৩৪ রান।
উইন্ডিজ ও বাংলাদেশঃ পুরান আউট হলেও ক্রিজে থাকা ব্রেন্ডন আবারও জুটি গড়েন রভম্যান পাওয়েলের সাথে। দলীয় ১৬৩ রানে ব্রেন্ডনকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। সাকিবের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে ব্রেন্ডন সংগ্রহ করেন ৪৩ বলে ৫৭ রান।
উইন্ডিজের শেষ উইকেট পড়ে ১৭৬ রানে রোমারিও শেফার্ডের। ৫ বলে ৩ রান করা শেফার্ডকে ফেরান শরিফুল ইসলাম মাহেদির হাতে তালুবন্দির মাধ্যমে। ৬ টি ওভার বাউন্ডারি আর ২ টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৮ বলে ৬১ করা পাওয়েল অপরাজিত থাকেন।
বোলিংয়ে তাসকিন ৪৬ রান দিয়ে আর মুস্তাফিজ ৩৭ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। শরিফুল নেন ৪০ রানে ২ উইকেট। সাকিব নেন ৩৮ রানে ১ টি আর মাহেদি ৩১ রানে নেন ১ টি উইকেট। মোসাদ্দেক নেন ১ ওভার মেইডেন দিয়ে ১ উইকেট। শেষ অবধি উইন্ডিজের ইনিংস থামে ১৯৩ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনাররা। দলীয় ৮ রানেই বিদায় হন দুই ওপেনার। দীর্ঘদিন পরে চান্স পাওয়া এনামুল হক বিজয় করেন ৪ বলে ৩ রান আর লিটন দাস করেন ৪ বলে ৫ রান। দুজনকেই ফেরান ওবেড ম্যাকোই। এনামুলকে ফেরান বোল্ড আর লিটনকে ফেরান ক্যাচ আউটের মাধ্যমে।
দলীয় ২৩ রানে আউট হন অধিনায়ক মাহামুদুল্লাহ। ৭ বলে ১১ রান করা মাহামুদুল্লাহকে ফেরান ওডিন স্মিথ ওবেডের হাতে তালুবন্দি করে। ক্রিজে থাকা আফিফ আর সাকিব জুটি গড়েন। তাদের এ জুটি স্থায়িত্ব পায় দলীয় ৭৮ রান অবধি। দলীয় ৭৮ রানে ২৭ বলে ৩৪ রান করা আফিফ আউট হন শেফার্ডের বলে পুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
দলীয় ৯৭ রানে আউট হন নুরুল হাসান ব্যক্তিগত ১৩ বলে ৭ রানের মাথায়। নুরুলকে ফেরান আকিল হোসেন ব্রেন্ডনের হাতে তালুবন্দির মাধ্যমে। একপাশ আঁকড়ে থাকা সাকিব এবার জুটি গড়েন মোসাদ্দেকের সঙ্গে। দলীয় ১৫০ রানে তাদের এ জুটি কাটা পড়ে শেফার্ডের বলে পুরানের হাতে মোসাদ্দেক তালুবন্দি হলে। আউটের আগে মোসাদ্দেক করেন ১১ বলে ১৫ রান।
শেষ অবধি বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৫৮ রানে মাহেদি হাসান আর সাকিব শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ২ বলে ৫ রান আর ৫২ বলে ৬৮ করে। এই ম্যাচে বাংলাদেশ হারলেও সাকিব তুলে নেন তাঁর ৯ম টি-২০ ফিফটি।
বোলিংয়ে আকিল নেন ২৭ রানে ১ উইকেট। ওবেড নেন ৩৭ রানে ২টি আর ওডিন নেন ৩২ রানে ১টি উইকেট। আর শেফার্ড নেন ২৮ রানে ২টি উইকেট।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
উইন্ডিজঃ ১৯৩-৫ (২০)
ব্রেন্ডন ৫৭(৪৩)
মেয়ার ১৭(৯)
ব্রুকস ০(৩)
পুরান ৩৪(৩০)
পাওয়েল ৬১(২৮)*
শেফার্ড ৩(৫)
স্মিথ ১১(৪)*
সাকিব ৪-০-৩৮-১, মোসাদ্দেক ১-১-০-১, শরিফুল ৪-০-৪০-২, তাসকিন ৩-০-৪৬-০, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৭-০।
বাংলাদেশঃ ১৫৮-৬ (২০)
এনামুল ৩(৪)
লিটন ৫(৪)
সাকিব ৬৮(৫২)*
মাহামুদুল্লাহ ১১(৭)
আফিফ ৩৪(২৭)
নুরুল ৭(১৩)
মোসাদ্দেক ১৫(১১)
মাহেদি ৫(২)*
আকিল ৪-০-২৭-১, ওবেড ৪-০-৩৭-২, ওডিন ৩-০-৩২-১, শেফার্ড ৪-০-২৮-২, পল ১-০-৯-০, ওয়ালশ ৪-০-২৩-০।
ফলাফলঃ উইন্ডিজ ৩৫ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ রভম্যান পাওয়েল।