এশিয়ার কাপের গ্রুপ পর্ব শেষে সেরা চারের ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ইন্ডিয়া।দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ ভালো শুরু করে ইন্ডিয়া। রাহুল ও রোহিত শর্মার অসাধারণ ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লেতে অনেকটা এগিয়ে যায় ইন্ডিয়া। তবে ষষ্ঠ ওভারে হারিস রওফ রোহিত শর্মাকে শিকার করলে ভেঙে যায় তাদের অসাধারণ জুটি। ১৬ বলে ২৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে রোহিত বিদায় নিলে ৫৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইন্ডিয়া।
রোহিত আউট হওয়ার পরের ওভারেই প্রথম বলেই রাহুলকে সাজঘরে পাঠায় সাদাব খান।দু’টি ছক্কা ও একটি চারে ২০ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে রাহুল বিদায় নিলে তৃতীয় উইকেটে দলকে টানতে শুরু করে কোহলি ও যাদব।
তবে কোহলিকে খুব বেশীক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেনি যাদব। ১০তম ওভারে মুহাম্মদ নওয়াজের বলে আসিফ আলীর হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে যাদব। ফেরার সময় তার সংগ্রহে ছিল দুটি বাউন্ডারিসহ ১০ বলে ১৩ রান।
তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকলেও একপাশ একাই সামলে নিচ্ছিলো কোহলি। রিশাত পান্ত ১২ বলে ১৪ ও হৃতিক পান্ডে গোল্ডেন ডাক খেলেও অন্য পাশে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ন করে কোহলি।
৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ২০তম ওভারে ৪৪ বলে ৬০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরে কোহলি। শেষ ওভারে চতুর্থ বলে এক রানের পর দুই রান নিতে গেলে রান আউট হন কোহলি।
কোহলির আউটের আগে ১৪ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেছিল দীপক হুদা। কোহলির আউটের পর মাঠে নেমে দুই বলে দুই চার হাঁকিয়ে ১৮১ রানের সংগ্রহ এনে দেয় রবি বিষ্ণ।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১৮১ রানের সংগ্রহ করতে ইন্ডিয়া উইকেট হারিয়েছে ৭ টি। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ দুইটি উইকেট শিকার করেন শাদাব খান। মুহাম্মদ হাসনাইন, হরিস রওফ ও মুহাম্মদ নওয়াজ শিকার করেন একটি করে উইকেট।
১৮২ রানের বেশ বড় লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে পাকিস্তান। শুরুটা আশানুরূপ না হলেও ধীরে সুস্থে এগোচ্ছিল পাকিস্তান। চতুর্থ ওভারে বরি বিষ্ণুর বলে রোহিত শর্মার হাত বন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরে অধিনায়ক বাবর আজম।
১০ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে বাবর সাজঘরে ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর আজমের মতো জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন ফখর জামানও। ১৮ বলে ১৫ রানের ধীর ইনিংস খেলে ফখর সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
তৃতীয় উইকেটে রিজওয়ানকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসে মুহাম্মদ নওয়াজ। মাঠে নেমেও ইন্ডিয়ার বোলারদের উপরে চড়ে বসে নওয়াজ। মাত্র ২০ বলে ২ টি ছক্কা ও ৬ টি চারে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় নওয়াজ। ৪২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরলেও দলের অবস্থা তখন আগের চাইতে অনেক ভালো। তখনও এক প্রান্তে দলকে ক্রমাগত টেনে চলছিল রিজওয়ান।
হাফ সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে রিজওয়ান। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে হার্তিক পান্ডের বলে সূর্যকুমার যাদবের হাত বন্দি হয়ে রিজওয়ান সাজঘরে ফিরলে স্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে ইন্ডিয়া দলে। তবে ততক্ষণে দু’টি ছক্কা ও ছয়টি চারে ৫১ বলে ৭১ রানের এক বিশাল ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের দ্বার প্রান্তে।
দলকে জয়ের আরও কাছে নিয়ে যায় আসিফ আলী। এক ছক্কা ও দুই চারে ৮ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলে আর্ষদীপের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে আসিফ আলী। শেষ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। প্রথম দুই বলে ৫ রান, তৃতীয় বল ডট খেলে জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়ে চতুর্থ বলে আউট হয় আসিফ আলী।
আসিফ আউটের পরের বলেই বাকি দুই রান তুলে নেয় ইফতিখার আহমেদ। এতে ১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেট অসাধারণ জয় পায় পাকিস্তান। ১১ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত ছিল কুশদীল শাহ্। ইন্ডিয়ার পক্ষে ৫ বোলারই একটি করে উইকেট শিকার করে।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইন্ডিয়া – ১৮১/৭ (২০)
ভিরাট কোহলি ৬০
রোহিত শর্মা ২৮
কেএল রাহুল ২৮
শাদাব খান ২/৩১
মুহাম্মদ নওয়াজ ১/২৫
পাকিস্তান – ১৮২/৫ (১৯.৫)
মুহাম্মদ রিজওয়ান ৭১
মুহাম্মদ নওয়াজ ৪২
আসিফ আলী ১৬
রবি বিষ্ণু ১/২৬
অর্ষদীপ সিং ১/২৭