বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

হঠাৎ বমি? বমি হওয়ার মূল কারণ ও বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত?

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত? বমি খুবই পরিচিত একটি সমস্যা এবং বমি হলে কি কি খাবার নির্বাচন করা উচিত এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশিরভাগ সময় সাধারণ সমস্যার কারণে বমি হতে পারে। যেমন: অতিরিক্ত গরম লেগে গেলে বমি হতে পারে, বদহজমের সমস্যা দেখা দিলে বমি হতে পারে, দুর্গন্ধ জনিত কারণে বমি হতে পারে, ইত্যাদি। আবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জটিল রোগের উপসর্গ হিসেবে বমিকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। 

কার্যত বমি তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ না হলে প্রথমে বমি হওয়ার প্রাথমিক কারণ চিহ্নিত করতে হবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। আজকে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি বমির মূল কারণসমূহ এবং বমি হলে আমাদের কি কি খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে।

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত?

কোন কারণে যদি আমাদের বমি শুরু হয় তাহলে খাবার রুচি থাকে না। কিন্তু নিজের শরীরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের বমির পরে অবশ্যই কিছু খাবার খাওয়া উচিত। তবে এ ক্ষেত্রে খুব সাবধানে খাবারগুলোকে আমাদের নির্বাচন করা উচিত। বমি ও বমিভাব রোধক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত মেডিসিন কিনুন আমাদের শপ থেকে!

অর্থাৎ, যে খাবারগুলো আমাদের পেটকে শীতল করতে সাহায্য করবে এবং খুব সহজে হজম হয়ে যাবে সেই খাবার গুলো আমাদেরকে বেছে নিতে হবে। খাবার গুলো হচ্ছে-

১. স্বাভাবিক এবং তরল খাবার

যতদূর সম্ভব বমি হওয়ার পর আপনাকে মসলা বিহীন অর্থাৎ স্বাভাবিক খাবার এবং তরল খাবার খেতে হবে। এ খাবারগুলো আপনার হজম শক্তি কে বাড়াবে এবং সহজে হজম হয়ে যাবে, তাছাড়া গ্যাসের সৃষ্টি করবে না। তরল খাবার আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে খুবই সাহায্য করবে।

২. শক্ত খাবার এবং কলা 

বমি হওয়ার কিছুক্ষণ পর আপনাকে অবশ্যই কিছু খাবার খেতে হবে তা না হলে আপনি অতি দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। আপনি যদি ব্র্যাড টাইপ যুক্ত খাবার গুলো কে পছন্দ করেন তাহলে সেই খাবার গুলো কে নির্বাচন করেন যেমন ভাত, টোস্ট, বা আপেল। এই খাবারগুলোর পাশাপাশি আপনি কলা খেয়ে নিতে পারেন কারণ কলা একটি অনন্য সুস্বাদু খাবার যা বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। কলা আপনাকে খুব সহজেই শক্তি যোগাবে।

৩. ফলের জুস

বমি হওয়ার পর আপনি যদি শক্ত খাবার খেতে না পারেন তাহলে ফলের জুস খেতে পারেন। এক্ষেত্রে, ভিটামিন সি যুক্ত কমলার জুস আপনার জন্য অত্যন্ত কার্যকর হবে। এতে করে আপনার মুখে রুচি ফিরে আসবে এবং আপনি স্বাভাবিক পর্যায়ে খুব দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন। 

৪. হজম প্রক্রিয়ার দই

দই অনন্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার যা আপনার যেকোনো খাবার হজমে সাহায্য করবে এবং পাশাপাশি শক্তির জোগান করবে। তবে সব সময় কম টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীরে এসিড সৃষ্টি করবে না বরং আপনি এতে করে অনেক বেশি উপকৃত হতে পারেন। 

৫. বরফ জাতীয় খাবার

বমি হয়ে যাওয়ার পর আমাদের পানির পিপাসা লাগতে পারে। তবে বমির পর বেশি পানি করা বিপদজনক কারণ এতে করে আবারও বমি হতে পারে। তাই আপনি পানির পরিবর্তে দুই এক টুকরো বরফ খেয়ে নিতে পারেন। এতে করে আপনার পানি পিপাসা মিটে যাবে এবং বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। পাশাপাশি বরফ আপনার পাকস্থলীকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করবে।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

বমি হবার মূল কারণ গুলো কি কি?

মূলত বমি একটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক এবং অস্বস্তিকর সমস্যা। আপনার যদি এক থেকে দুই বার সাময়িকভাবে বমি হয়ে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটি কোনো বিশেষ সমস্যা না। তবে বমি যদি অনবরত চলতে থাকে এবং কোনভাবেই বন্ধ না হয় তাহলে এটি আস্তে আস্তে জটিল পর্যায়ে রূপ নিতে পারে। এক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের সুবিধার্থে বমির কারণ গুলো চিহ্নিত করা খুবই জরুরি। চলুন জানা যাক বমির মূল কারণগুলো আসলে কি হয়ে থাকে-

জীবাণুযুক্ত খাবার

আমরা অনেক সময়ই খাবারের সাথে জীবাণু খেয়ে ফেলি যেটা আমরা নিজের অজান্তেই করে থাকি। মূলত পঁচা বাসি খাবার অনেক ক্ষেত্রে বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং আমরা যদি না বুঝে এই খাবারগুলো ভক্ষণ করে থাকি তাহলে আমাদের শুরু হতে পারে পেটে ব্যথা এবং বমি। আবার আমরা মুখরোচক খাবার গুলো অনেক সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করে খেয়ে থাকি। এতে করে আমাদের পাকস্থলী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বমি শুরু হতে পারে।

গ্যাসের সমস্যা

আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে অর্থাৎ যদি পেপটিক আলসারের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে পেটে প্রদেহের সাথে সাথে বমি অবশ্যই হবে। 

 গর্ভাবস্থায় বমি

কেউ যদি নতুন গর্ভধারণ করে থাকেন তাহলে তাদের মাথা ঘোরার সাথে সাথে বমি হতে পারে। এই বমি হওয়া কোনো খারাপ লক্ষণ নয় বরং এটি খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়।

পিত্তথলিতে সমস্যা

পিত্তথলিতে প্রদাহ বমি হওয়ার অন্যতম কারণ। পিত্তথলিতে সমস্যা হওয়ার কারণে আপনার এই ব্যথা পেটের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে বমি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। 

এপেনডিক্সের ব্যথা

এপেনডিক্সের ব্যথার কারণে অনেক সময় বমি হয়ে থাকে এবং এই ব্যথা তলপেটের ডান পাশে এবং নাভির গোড়ায় হতে পারে।

মূত্রথলির সংক্রমণ সমস্যা

মূত্রথলির সংক্রমণ হলে হালকা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হয় এবং সাথে থাকতে পারে বমি।  এই সংক্রমণে আপনার কোমরের দুই পাশে ব্যথা হবে এবং ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা দেখা দেবে।

মস্তিষ্কের সমস্যা

মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে যেমন মস্তিষ্কে টিউমার। এ সমস্যা দেখা দিলে মস্তিষ্কে প্রধানের সাথে সাথে বমি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।

মন্তব্য

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত? আমাদের অনেকের মধ্যে একটি ধারণা আছে যে বমি হওয়ার পর কিছু খাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এতে করে শরীর অনেক বেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই অবশ্যই আমাদেরকে বমির কিছুক্ষণ পর কিছু খাবার খেতে হবে। 

আমরা ইতিমধ্যেই জেনে গিয়েছি যে বমির পর পর কি ধরনের খাবার নির্বাচন করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই, সঠিক সময় সঠিক খাবার নির্বাচন করুন এবং সুস্থ থাকুন। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top