https://www.healthd-sports.com/pain-in-lower-belly/

পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে বিশ্বকাপে বিদায়ের পর অনিশ্চিত ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি!

বিশ্বকাপের নিজেদের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। 

২ জয়ে টেবিলের সপ্তম স্থানে থাকা পাকিস্তান নিজেদের সেমিফাইনাল আশা বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছিলনা।

বিশ্বকাপ হতে বিদায়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে শংকা! (Farewell from the World Cup and concern about the Champions Trophy!)

যেখানে, বিশ্বকাপে বিদায় একপ্রকার নিশ্চিতের পর এবার ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে শংকায় বাংলাদেশ দল।

আইসিসির নিয়মানুযায়ী স্বাগতিক পাকিস্তানসহ এবারের বিশ্বকাপের শীর্ষ ৮ দল সুযোগ পাবে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। 

ফলে, পয়েন্ট টেবিলের ৯ম স্থানে থাকা বাংলাদেশের উক্ত টুর্নামেন্টে খেলার জন্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

দুই দলের একাদশ ও টস আপডেট

নিজের চেনা মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে টস ভাগ্যে এগিয়ে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। টসে জিতে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

বাংলাদেশের একাদশে ছিল ১ পরিবর্তন। অলরাউন্ডার শেখ মাহেদীর পরিবর্তে আবারও সুযোগ পান ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।

পাকিস্তান দলে আসে একাধিক পরিবর্তন। ইমাম উল হক, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নাওয়াজের পরিবর্তে একাদশে জায়গা করে নেন ফখর জামান, আগা সালমান ও উসামা মীর।

বাংলাদেশ একাদশ: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।

পাকিস্তান একাদশ: বাবর আজম (অধিনায়ক), ফখর জামান, আব্দুল্লাহ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সৌদ শাকিল, ইফতেখার আহমেদ, আগা সালমান আলি, উসামা মীর, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ।

ম্যাচের ১ম ইনিংস

ইনিংসের শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া অধিনায়ক সাকিবকে আরও একবার ভুল প্রমাণিত করতে দেরি করেননি তানজিদ তামিম।

শাহীন আফ্রিদির ১ম ওভারে শূন্য রানে আউট হওয়া জুনিয়র তামিমকে সঙ্গ দিয়ে শাহীন আফ্রিদির ২য় ওভারে মাত্র ৪ রান করে সাজ করে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। 

অভিজ্ঞ মুশফিকুও হাঁটেন একই পথে। ৫ রান করে হারিস রউফের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মুশি। 

ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতির দেখা পেয়ে পঞ্চমে ব্যাটিং করতে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিংয়ে আরও একবার বিপদে পড়া বাংলাদেশের হয়ে চাপ সামাল দেন রিয়াদ ও লিটন। 

দুজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলীয় ১০০ পার করার পরই হাল ছাড়েন লিটন। ৫ রানের আক্ষেপে সঙ্গী লিটন হাফ সেঞ্চুরি মিস করলেও নিজের ৫০ পূরণ করতে ভুল করেননি সাইলেন্ট কিলার। 

অর্ধ শতকের কিছুক্ষণ পরই শাহীনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মাহমুদউল্লাহ। তার পরিবর্তে নামা তাওহীদ হৃদয়ও ক্রিসে টিকেননি বেশি সময়। 

অধিনায়ক সাকিবকে মাঠে রেখে মাত্র ৭ রান নিয়ে আবারও ব্যর্থ হন এই অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী তরুণ। এরপর, মিরাজকে নিয়ে দলের রান চাকা সচল রাখেন সাকিব। দলীয় ১৮৫ রানে সাকিব ফিরলে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মধ্যে। 

লোয়ার অর্ডারে মিরাজের ২৫ রানের ছোট্ট ইনিংসে ২০০ রানের কোটা পূরণ করে হাথুরুসিংহে বাহিনী। ফলে, ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে অলআউট হলে পাকিস্তানকে ২০৫ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।

ম্যাচের ২য় ইনিংস

২০৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিক। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভারে তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও মিরাজকে দারুণভাবে খেলে কোনো বিপদে পা দেননি দুই পাক ওপেনার। 

এই দুজনের জুটিতে নিজেদের জয়ের দিকে সহজভাবেই এগোতে থাকে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। 

বোলিংয়ে নতুনত্ব আনতে নিয়মিত বোলারদের পাশাপাশি নাজমুল হোসেন শান্তকেও বোলিং করান সাকিব। তবে, কাজের কাজ করতে পারছিলনা কেউই। 

আব্দুল্লাহ শফিককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ২২তম ওভারে ফখর জামানের সাথে তার ১২৮ রানের জুটি ভাঙেন মিরাজ। শফিক ৬৮ রানে ফেরার পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন ফখর। 

৯ রানে আউট হয়ে ফখরকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন বাবর আজম। অধিনায়কের পর ৮১ রানে ফখর জামানকে ফেরাতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে নিজেদের জয়ের পথ সুগম করে ফেলে গ্রেন্ট ব্র্যাডবার্ন শিষ্যরা। 

৩ উইকেট হারানোর পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২৬ ও ইফতেখার আহমেদের ১৭ -‘তে অপরাজিত ৩৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আসরের ৩য় জয় নিয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন জাগিয়ে রাখে পাকিস্তান।

ইমাম উল হকের পরিবর্তে একাদশে সুযোগ পেয়ে ৩ চার ও ৭ ছয়ের ইনিংসে ৮১ রানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ফখর জামান।

ম্যাচ স্কোরবোর্ড (Match Scoreboard)

বাংলাদেশ    ২০৪/১০ (৪৫.১ ওভার)

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ – ৫৬ (৭০)

শাহীন শাহ আফ্রিদি – ৩/২৩ (৯ ওভার)

পাকিস্তান    ২০৫/৩ (৩২.৩ ওভার)

ফখর জামান – ৮১ (৭৪)

মেহেদী হাসান মিরাজ – ৩/৬০ (৯ ওভার)

ম্যাচ সেরা – ফখর জামান

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top