সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত

সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত জানেন কী?

সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত – শরীর ফিট রাখার জন্য জিম করা প্রয়োজন সেটা আমরা সবাই মানি। কিন্তু এই ব্যস্ত জীবনে আমাদের কি সেই সময় হয়ে ওঠে?

অনেকসময় বেশ আয়োজন করেই আমরা এই কাজটা শুরু ‍করি, কিন্তু তার কোন ধারাবাহিকতা থাকে না। তবে আমাদের জানারও অনেক ঘাটতি আছে সেটা বিভিন্নভাবে বোঝা যায়। যেমন এই বিষয়ে একটা কমন প্রশ্ন সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত ? আসুন আজ এই প্রশ্নের উত্তরটা জানি।

সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত

জিম করার লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অনুযায়ী নির্ধারিত হবে আপনার সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত। যেমন সাধারণ ফিটনেসের জন্য সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন, পেশি গঠনে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন, আবার শরীরের ওজন কমানোর জন্য সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিন জিম করা দরকার।

>> বাড়িতে জিম করার নিয়ম – নিজেকে রাখুন ১০০% ফিট!

যে কারণে একবারেই এটা বলে দেওয়া যায় না যে আপনি সপ্তাহে তিন দিন বা পাঁচ দিন জিম করবেন। আসুন ধাপে ধাপে বিস্তারিত জানি। 

সাধারণ ফিটনেস

আপনার লক্ষ্য যদি হয় ক্যালোরি বার্ন তাহলে তিন দিনের কার্ডিও এবং দুই দিন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং আপনার জন্য আদর্শ। আর যদি চান মাসল টোন করতে তাহলে ব্যাপারটাকে উল্টে নিন। অনেকেই বলকে আমি ক্যালোরি বার্ন এবং মাসল টোন দু্টোই একসাথে চালাবো। সেক্ষেত্রে আপনি রুটিনটি প্রতি সপ্তাহে উল্টে নিবেন। 

বাকি যে দুই দিন থাকে সেটি আপনার রেস্টের জন্য। তবে একেবারে শুয়ে বসে না থেকে এই দুই দিন সামান্য দৌড়াদৌড়ি বা বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করতে পারেন। 

পেশী গঠন

পেশী গঠনের তিন থেকে চার দিনের সময়সূচীতে সাধারণত প্রতি সেশনে দুইটি মাসল গ্রুপকে ফোকাস করে জিম করা হয়। পরের দিন অন্য মাসলগ্রুপ টার্গেট করা হয় এবং আগের মাসলগ্রুপটি বিশ্রামের সুযোগ পায়। তবে অনেকেই ছয় দিনের শিডিউল ফলো করে আরো দ্রুত মাসল ডেভলপ করতে পারে।

চার দিনের সূচীতে সুবিধা হচেছ বিশ্রামের পযাপ্ত সুযোগ থাকে। কোন মাসলগ্রুপের উপরেই অতিরিক্ত চাপ পড়ে না, যে কারণে এটি নিয়মিত করা অনেক সহজ হয়। 

ওজন কমানো

ওজন কমাতে বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় দিনে প্রতিদিন ৬0 থেকে ৯০ মিনিট মাঝারি থেকে তীব্র ধরণের জিম করা প্রয়োজন হয় এবং এই সময়ে ক্যালোরি গ্রহনের পরিমাণ অবশ্যই নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। তবে আপনি কি ধরণের জিম করবেন তা আপনার ডায়েট, আপনার বয়স, ওজন এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে। 

সপ্তাহে পাঁচ/ছয় দিন জিম করা আপনাকে একটি রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসে এবং এটিকে একটি অভ্যাসে পরিণত করে। এভাবে প্রাকটিস করলে শুধু ওজন কমানোই না, বরং আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হবে। 

কেন রুটিন মেনে জিম করা দরকার

আপনাকে প্রথমেই নির্ধারণ করতে হবে সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত। সেই অনুযায়ী একটি সুষম ব্যায়াম রুটিন তৈরি করতে হবে যেটি আপনাকে সক্রিয় রাখবে। আপনি যদি খুব টাইট শিডিউলের মধ্যে থাকেন এবং এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে না পারেন তাহলে সমস্যা যেটা হয় সেটা হলো আপনার এই বিষয়ে একটি বিরক্তি চলে আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। 

যে করণে আপনি যেমন আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছিলেন ঠিক একইভাবে ছেড়ে দেওয়াটাও বিচিত্র না। তাছাড়া আপনি ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে না পারলে আপনার জিমের উদ্দেশ্য যেমন ওজন কমানো বা ফিটনেস ঠিক রাখা কোনভাবেই ঠিকমতো হবে না।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

পরিসমাপ্তি

জিমের উপকারিতা আমরা সবাই জানি, এটা নতুন করে বলার কিছু নেই। এখন এটিও জানলাম সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত । সুতরাং দেরি কিসের, আসুন আমরাও একটি রুটিন করে ফেলি।

2 thoughts on “সপ্তাহে কতদিন জিম করা উচিত জানেন কী?”

  1. Munkashir hossen

    বাহ, বেশ ভাল ইনফরমেশন। আমি ভাবতাম ব্যায়াম যত বেশি করা যায় ততই ভাল। বেশি ব্যায়ামে বেশি কাজ করবে। কিন্তু এখন দেখি পুরায় ভুল চিন্তা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top