কালোজিরার ২২টি উপকারিতা ও গুণাগুণ জেনে নিন!

কালোজিরার উপকারিতা – কালোজিরায় আছে অজস্র রহস্যময় গুণাগুণ। যা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) স্বয়ং বলেছেন, “কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ।” 

কালোজিরার উপকারিতা

কিন্তু কী আছে এই কালোজিরায়? বিস্তারিত জানতে লেখাটি পড়ে ফেলুন ঝটপট। 

কালোজিরা ও এর গুণাগুণ

কালোজিরা এক ধরনের মসলা। বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে এটি ব্যবহার হয়। কালোজিরার অন্যতম কিছু গুণাগুণ তুলে ধরা হলো। 

ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন:

কালোজিরায় রয়েছে শক্তিশালী হরমোন ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ক্যারোটিন। এতে প্রসাবের সমস্যা প্রতিরোধক বিভিন্ন উপাদান সহ পাচক, এনজাইম ও অম্লোরোগের বিভিন্ন প্রতিষেধক বিদ্যমান আছে। এবং কালোজিরায় শতকরা ৩৮ শতাংশ শর্করা, ২১ শতাংশ আমিষ, ও ৩৫ শতাংশ স্নেহজাতীয় উপাদান রয়েছে। 

ভিটামিন ও খনিজের অন্যতম উৎস:

কালোজিরায় যথেষ্ট ভিটামিন ও খনিজের উপস্থিতি রয়েছে। প্রতি গ্রাম কালোজিরায় ২০৮ মাইক্রোগ্রাম প্রোটিন, ১০৫ মাইক্রোগ্রাম আয়রন, ১৫ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি১, ও ৬০ মাইক্রোগ্রাম জিংক থাকে। এছাড়াও আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যেমন, ফোলাসিন, নিয়াসিন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ও কপার রয়েছে। 

কালোজিরার ২২টি উপকারিতা ও গুণাগুণ ভিডিও তে দেখতে এখানে ক্লিক করুন

অনন্য উপকারি কালোজিরার তেল:

কালোজিরার তেল আমাদের অসংখ্য উপকারে আসে। ভিটামিন এ, বি, সি, নিয়াসিন ও ভিটামিন বি২ সহ ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ও জিংকের এক অনন্য সংমিশ্রণ কালোজিরার তেল। এটি একাধারে যেমন জীবাণুনাশক, তেমনি, মানুষের শরীরের হাজারো উপকারে আসে। 

কালোজিরার উপকারিতা

মূলত কালোজিরার তেল আমাদের শরীরের নানাবিধ উপকারে আসে। নিয়মিত কালোজিরা খেলে ডায়াবেটিস, ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, কালোজিরার রয়েছে আরো অসংখ্য উপকারিতা, নীচে ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:

প্রতিদিন সকালে এক কাপ চায়ের সাথে আধা চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:

উচ্চরক্তচাপ হ্রাস এবং নিম্নরক্তচাপ বৃদ্ধিতে কালোজিরা এক অদ্ভূত ভূমিকা রাখে। 

আদর্শ ডায়েট:

ডায়েটের জন্য কালোজিরা দারুণ একটি খাবার। রুটি ও তরকারিতে কালোজিরা ব্যবহার করে খেতে পারেন নিয়মিত। অনেকে মধুর সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। টক দইয়ের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খেলেও দারুণ উপকার পাবেন। 

ত্বক:

ত্বকের যত্নে কালোজিরা ব্যবহারে পাবেন সুফল। ত্বকের ব্রণ ও মেছতা দূর করতে লেবুর রসের সাথে কালোজিরা অথবা কালোজিরার তেল মিশিয়ে মুখে লাগান। খুব অল্পদিনেই পাবেন উজ্জ্বল ত্বক। 

মাথাব্যথার উপশম:

মাথাব্যথা দূর করতে কালোজিরার তেল অনেক প্রাচীন এবং কার্যকর একটি উপায়। কপালে ও কানের পার্শবর্তী জায়গায় কালোজিরার তেল মালিশ করলে মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

হাঁটু ব্যথার সমাধান:

হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সরিষার তেলের সাথে কালোজিরার তেল মিশিয়ে গরম করুন। এরপর হাঁটুতে মালিশ করুন। জয়েন্টের ব্যথা দূর হবে। 

লিভার ও কিডনি ভালো রাখে:

কালোজিরায় আছে এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা লিভারকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও এটি প্রদাহ, ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এবং লিবার ও কিডনিকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

কালোজিরা নিয়মিত খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সতেজ বানায় এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তিশালী করে তোলে। তাই বলা যায় কালোজিরার উপকারিতা অনেক।

সর্দি কাশির ঔষধ:

সর্দি কাশি দূর করতেও কালোজিরা দারুণ কাজে দেয়। এক চামচ কালোজিরার তেলের সাথে এক চামচ মধু খেলে উপকার পাওয়া যায়। আবার এক কাপ লাল চায়ের সাথে এক চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে খেলেও লাভ হয়। 

হাঁপানির সমস্যা দূর করে:

কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও দূর করে। খাবার সাথে প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানিজনিত সমস্যা অনেকাংশেই দূর হয়। 

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে:

কালোজিরা সারা শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে মস্তিষ্কেও রক্তসঞ্চালিত হয় সহজে। এতে স্বৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

শিশুর দৈহিক ও মানসিক গঠন:

আপনার শিশুকে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে তা শিশুর মানসিক ও দৈহিক গঠনে সাহায্য করে। শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা ও স্বৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কালোজিরা অনেক উপকারি৷ 

প্রসূতি মায়ের জন্য কালোজিরার উপকারিতা:

প্রসূতি মায়ের বুকের দুধের পর্যাপ্ততা আনতে কালোজিরার ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন শোবার আগে দুধের সাথে ১০-১৫ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে মিশিয়ে খেলে লাভ হয়। এছাড়াও কালোজিরার ভর্তা বা কালোজিরার তেলের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। 

চুল পড়া বন্ধ করে:

কালোজিরা চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। তাই নিয়মিত কালোজিরা খেলে বা কালোজিরার তেল চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হয়। 

মেদ কমায়:

চায়ের সঙ্গে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে খেলে তা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমায়। 

পাইলসের সমস্যা নিরসনে:

পাইলস আক্রান্ত ব্যক্তিরা যদি প্রতিদিন খালি পেটে এক চামচ মাখন, তিলের তেল এবং কালোজিরার তেল মাখিয়ে খান তাহলে উপকার পাবেন। সপ্তাহে ৩/৪ দিন এভাবে খেতে হবে। 

অনিয়মিত মাসিক সমস্যায়:

যদি কোনো মহিলা অনিয়মিত মাসিক সমস্যায় ভুগেন তবে নিম্নোক্ত রেসিপিটি মিশিয়ে দৈনিক ২/৩ বার খেতে পারেন। 

  • এক কাপ কাঁচা হলুদের রস। 
  • ১ কাপ আতল চাল ধোয়া পানি। 
  • ১ কাপ কালোজিরার তেল। 

যৌন অক্ষমতা দূর করে:

প্রাচীনকাল থেকেই এটি প্রচলিত যে কালোজিরা যৌন সক্ষমতা বাড়ায়। তাই যেকোনো খাবারে কালোজিরা মিশিয়ে খেলে পুরুষত্বহীনতা দূর হয়। হেলদি অর্গানিক কালোজিরা তেল কিনুন আমাদের শপ থেকে!

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন  আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

পরিশেষে:

কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। তাই সাশ্রয়ী মূল্যের এই উপকরণটিকে রান্নাঘরের অপরিহার্য উপাদান হিসেবে রাখতে পারেন।

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top