চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম – পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিগুনসমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে একটি হলো চিয়াসিড। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এটি একটি মাল্টি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি।
সুস্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়াসিড রাখতে পারেন আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। তবে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না এটি কীভাবে খাওয়া যায়। চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জানতে চাইলে আজকের লেখাটি পড়ে ফেলুন ঝটপট।
ভিডিওঃ চিয়া সিড খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম ও উপকারিতা
Table of Contents
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
বিভিন্ন দেশের চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম বিভিন্ন রকম। স্বাদ ও ঘ্রাণবিহীন এই খাদ্যটি যেকোনো খাবারের সাথেই খাওয়া যায়। নীচে আমরা চিয়াসিড খাওয়ার বেশকিছু নিয়ম জানবো।
স্মুথি বানিয়ে
অনেকেই চিয়াসিড স্মুথি বানিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করেন। ব্লেন্ডার এর সাহায্যে টক-দই, চিয়া সিড, ও শসা দিয়ে একসাথে মিক্সড করে স্মুথি বানিয়ে খাওয়া যায়। আবার কলা, খেজুর, বাদাম ও চিয়াসিড একত্রে স্মুথি বানিয়ে খেতে পারেন।
সালাদের সাথে
যেকোন সালাদ বা কাটা ফলমূলের উপরে চিয়া সিড ছিটিয়ে খাওয়া যায়। চিয়াসিড খাওয়ার নিয়ম এর মধ্যে এটিই সবচেয়ে সহজ এবং জনপ্রিয়। এছাড়া রান্না করা যেকোন খাবারে চিয়া সিড ছিটিয়ে পরিবেশন করা যায়।
জুসের সাথে
যেকোন ফলের জুসের সাথে চিয়াসিড মিশিয়ে জুসের পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে ফেলতে পারেন। এবং বাড়িতে চিয়া ড্রিংকস বানিয়েও রাখতে পারেন।
এজন্য ২ কাপ পরিমান নারিকেলের পানি কিংবা পছন্দ মতো ফলের রসের সাথে ২ থেকে ৩ টেবিল চামচ চিয়াসিড দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত পানি যোগ করতে পারেন।
পান করা
১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ চিয়া সিড ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খালি পেটে খেলে শরীরের উপকার হয়। আবার সারাদিনে প্রতি কাপের চায়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
এছাড়া স্যুপের সাথেও চিয়া সিড খাওয়া যায়। সকালে ও রাতে পানি ও লেবুর রসের সাথে চিয়া সিড খেলে পেটের উপরকার হয়।
বাড়ির রান্না করা খাবারে
বাসায় তৈরী বিভিন্ন খাবার যেমন বিস্কুট, পরোটা, কেক, পুডিং বানানোর সময় তাতে চিয়া সিড মেশানো যায়। এতে খাবারটির পুষ্টিগুণ বেড়ে যায় অনেক বেশি।
চিয়া সিডের উপকারিতা
চিয়াসিড হলো মরুভূমিতে জন্মানো সালভিয়া উদ্ভিদের বীজ। এর পুষ্টিগুণ এত বেশি যে একে সুপারফুড বলা হয়। চিয়াসিডে উপকারিতা ক্রমান্বয়ে তুলে ধরা হলো।
- চিয়াসিড ওজন কমাতে এটি বেশ কার্যকর।
- এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।
- চিয়াসিড কোলন বা মলাশয় পরিষ্কার রাখে। ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুকি কমে।
- শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- এটি প্রচুর ক্যালসিয়ামযুক্ত হওয়ায় হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফাইল হাটুব্যাথা ও জয়েন্টের ব্যাথা দূর করতে সহায়তা করে।
- চিয়াসিডে আছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন। এটি শরীরের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
- এছাড়াও নখ, চুল ও ত্বক সুন্দর করতে চিয়াসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চিয়াসিডের পুষ্টিগুণ
পুষ্টিগুণে ঠাসা উদ্ভিজ্জ খাদ্যবস্তু, সুপারফুড চিয়াসিড যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী। এতে রয়েছে ওমেগা-৩, ফাইবার, ম্যাংগানিজ, ফসফরাস, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট।
পাশাপাশি ভিটামিন বি, থায়ামিন, নিয়াসিন আয়রন, দস্তা, ক্যাফিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম চিয়াসিডে বিদ্যমান।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতি ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে রয়েছে ১১ গ্রাম ফাইবার, ৪ গ্রাম প্রোটিন, ফ্যাট ৯ গ্রাম (যার ৫ গ্রাম ওমেগা ৩)। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-বি, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১, ও ভিটামিন বি-২।
পরিশেষ
অনেক আগে থেকেই প্রাচীন আমেরিকার অধিবাসীরা চিয়াসিড কে উপকারী খাদ্যবস্তু হিসেবে খেতেন। এটি আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক উপকারী। তাই সুস্বাস্থ্য রক্ষায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম মেনে আপনিও এটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
Thanks for your important information.
I will try it
Thank You! Stay with us!