বাংলাদেশ সফরকারী আফগানিস্তানের সাথে আজকে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের ‘সাগরিকা’ খ্যাত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আজকেও টসে জিতে বাংলাদেশ। টসে জিতে আজকেও প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
গতম্যাচে অসাধারণ সেঞ্চুরি পাওয়া লুটন দাস আজকেও সেই ছন্দে খেলতে শুরু করেন। লিটনের হাত ধরে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে খুব বেশীক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি তামিম ইকবাল। ২৫ বলে মাত্র ১১ রান করে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। তামিম ইকবাল সাজঘরে ফিরলে মাঠে নামেন সাকিব আল হাসান।
সাকিব ও লিটনের পার্টনারশিপে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকে। দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজনে। ৩৬ বলে ৩০ রান করে সাকিব আউট হলে ভাঙে পার্টনারশিপ। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এর শিকারে পরিণত হওয়ার আগে হাঁকান ৩ টি চার।
সাকিবের আউটের পর চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ধীরগতিতে আগাতে থাকে স্কোরবোর্ড। লিটন টিকে ছিলেন ৩৬ ওভার পর্যন্ত। ৩৬ তম ওভারে নবির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ১১৩ বলে ৮৬ রান করে সাজঘরে ফিরেন লিটন দাস। লিএনের সংগ্রহে ছিল ৭ টি বাউন্ডারি যার প্রতিটিই চার।
লিটনের বিদায়ের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মতি বিরতিতে উইকেট পড়তে থাকে বাংলাদেশ। একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দুই অঙ্কের স্কোরের দেখা পান। ৫৩ বলে ২৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল রিয়াদ।
শেষপর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে ১৯২ রানের সংগ্রহে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রশিদ খান। দুইটি উইকেট শিকার করেছেন মোহাম্মদ নবি।
ক্রিকেট নিয়ে আরও পড়ুন…
জয়ের লক্ষ্যে ১৯৩ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে আফগানিস্তান। ছোট লক্ষ্য হলেও বোলিং নিয়ে আশাবাদী ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তাদের সেই আশা গুড়িয়ে দেই দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতেই তারা সংগ্রহ করে ৭৯ রান। তাদের জুটি ভাঙে সাকিব আল হাসান। ৪৯ বলে ৩৫ রান করে সাকিবের শিকারে পরিনত হন রিয়াজ হাসান।
রিয়াজ বিদায় নিলে মাঠে নামে রহমত শাহ্। আবারও বিশাল পার্টনারশিপের মুখ দেখে আফগানরা। তবে এই পার্টনারশিপে বাংলাদেশের অবদানই বেশী! আজকে বাংলাদেশের ক্যাচ মিস ও মিস ফিল্ডিংয়ের ছড়াছড়ি ছিল। তাদের এই মিস ফিল্ডিংয়ে ভর করে ১০০ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ ও রহমতউল্লাহ গুরবাজ।
মাত্র ৩ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি ছুটে যায় রহমতের। ৬৭ বলে ৪৭ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সাজঘরে ফিরেন রহমত। রহমত আক্ষেপ নিয়ে বিদায় নিলেও শতক পূর্ণ করেন গুঁরবাজ। গুঁরবাজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক ছিল এটি।
শুঁরবাজের ব্যাটিং নৈপুণ্যের মাধ্যমে মাত্র ৪০. ১ ওভারেই লক্ষে পৌঁছে যায় আফগানরা। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হারায় মাত্র ৩ টি উইকেট। ১১০ বলে ১০৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন গুঁরবাজ। বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ পেয়েছেন দুইটি উইকেট, বাকি একটি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
টস – বাংলাদেশ
বাংলাদেশ – ১৯২/১০ (৪৬.৫)
লিটন দাস ৮৬, সাকিব আল হাসান ৩০, মাহমুদলউল্লাহ রিয়াদ* ২৯, রশিদ খান ৩/৩৭, মোহাম্মদ নবি ২/২৯
আফগানিস্তান – ১৯৩/৩ (৪০. ১)
রহমত উল্লাহ গুরবাজ* ১০৬, রহমত শাহ ৪৭, রিয়াজ হাসান ৩৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৩৭, সাকিব আল হাসান ১/৪৭
ফলাফল – আফগানিস্তান ৭ উইকেটে বিজয়ী।
এই ম্যাচে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন রহমতউল্লাহ গুরবাজ।
২-১ ব্যাবধানে সিরিজে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন লিটন দাস।