হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়

হরমোনের সমস্যা বোঝার ২৫টি উপায় ও প্রতিকার জানুন!

হরমোন শরীরের সব ধরণের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে বিধায় কোনো কারণে তা ইমব্যালেন্স হয়েছে কিনা তা বোঝা জরুরি। প্রাথমিক ভাবে হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় রয়েছে।

হরমোনের সমস্যা মূলত বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যাকে নির্দেশ করে। তবে কিছু সঠিক পন্থা অবলম্বন করলে এই সমস্যা দূর করা যায়। চলুন বিস্তারিত পড়ে ফেলি নীচের অংশে। 

ভিডিওঃ টেস্টোস্টেরন হরমোন কি || পুরুষ হরমোন কমে গেলে কি হয় জেনে নিন!

Table of Contents

হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায়

শরীরের বিভিন্ন পরিবর্তনের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটেছে। নিচে হরমোনের সমস্যা বোঝায় উপায়গুলো উল্লেখ করা হলো:

চুল পড়া

চুলপড়া আজকাল খুবই সাধারণত সমস্যা। চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলেই আমরা বিভিন্ন তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহার শুরু করি৷ কিন্তু চুল পড়ার অন্যতম কারণ হলো হরমোনের সমস্যা। হরমোন সমস্যা বোঝার উপায়গুলোর মধ্যে প্রথমিকভাবে বেশি চোখে পড়ে চুলের সমস্যা। অনেকের চুল পড়ে যায়, উঠে যায়, পাতলা হয়ে যায়, অস্বাভাবিক চুল পড়ে বা টাক পড়ে যায়।

এংজাইটি

মাঝেমধ্যে এংজাইটি বোধ করা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এটি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে তা এংজাইটি ডিজঅর্ডারে পরিণত হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা কোনো অসুখের কারণেও এংজাইটির সৃষ্টি হয়। শরীরে হরমোনের সামঞ্জস্যতা না থাকার কারণে এংজাইটি কাজ করে।

মুড সুইং

মুড সুইং হরমোন সমস্যা বোঝার উপায়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি আসলে মেজাজের দ্রুত পরিবর্তনকে বোঝায়। নারী-পুরুষ উভয়েরই মুড সুইং হতে পারে। তবে নারীদের মধ্যে সমস্যাটি বেশি প্রবল। হরমোনের তারতম্যের কারণে এটি হয়ে থাকলেও পিরিয়ড, প্রেগনেন্সির এই সময়গুলোতে মুড সুইং বেশি দেখা দেয়।

স্ট্রেস

দ্রুততম দুনিয়ায় চলতে গেলে প্রতিনিয়ত হাজার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে আপনার মানসিক চাপও বেড়ে যায়। শুধুমাত্র কাজের চাপের কারণেই স্ট্রেস বাড়ে না। স্ট্রেস বৃদ্ধির দায় অনেকটা হরমোনের উপরও বর্তায়। কারণ হরমোনের সমস্যা থাকলে ব্যক্তি অল্প কাজে বেশি স্ট্রেস নেয়।

ঘুমের সমস্যা 

হরমোনের সমস্যা দেখা দিলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। আর রাতে ঘুম না হলে শরীরে হরমোনের ইমব্যালেন্স হয়। ঘুম না হওয়া, ঘুম কম হওয়া, রাতে দীর্ঘসময় জেগে থাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের এমন সমস্যা হরমোনের সমস্যার বিষয়টি ইঙ্গিত দেয়। 

স্থূলতা

অতিরিক্ত স্থূলতা বা অবিসিটি বর্তমান বিশ্বে একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যার নাম। শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে তাই অনেকেই চিন্তিত। এই সমস্যার জন্য শরীরে হরমোনের পরিবর্তন অনেকাংশে দায়ি। হরমোনের সমস্যায়ওজন বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি বা অতিরিক্ত স্থূলতা দেখা দেয়। হাইপোথাইরয়েড, পিসিওএস নামক হরমোনাল রোগের কারণে শরীরে অতিরিক্ত ওজনের আধিক্য দেখা দেয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য

কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে মল ত্যাগের অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা। খাবারের সমস্যা, এসিডিটি, হজমের সমস্যা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। কিন্তু সবসময় শুধু এসব কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় এমনটাও ঠিক নয়। গর্ভাবস্থায়, থাইরয়েড সমস্যায়, পিসিওএস সমস্যাতেও হতে পারে ভয়ংকর কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘদিন এ সমস্যা থাকলে অবহেলা করা উচিত নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরকারক আয়ুর্বেদ ওষুধ কিনুন আমাদের শপ থেকে!

পিরিয়ড জনিত সমস্যা 

পিরিয়ড নারী শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু পিরিয়ডয় যখন তা অস্বাভাবিক রূপ ধারণ করে। হরমোনের অসামঞ্জস্যতায় পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দেয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে বা বন্ধ থাকলে বুঝতে হবে শরীরে হরমোনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

বন্ধ্যাত্ব

হরমোনের সমস্যায় নারী বা পুরুষের বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ সময় দীর্ঘদিন পর সন্তান হওয়া বা সন্তান না হওয়ার মতো জটিল সমস্যাগুলো হরমোনের কারণেই হয়ে থাকে। তাছাড়া সন্তান ধারণেও দেখা দেয় জটিলতা। আজকাল বেশ কিছু হরমোনাল রোগের কারণে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

হরমোনের সমস্যা দূর করার উপায়

যেকোনো বয়সেই হরমোনের সমস্যা হতে পারে। তাই বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করলে হরমোনাল সমস্যা দূর করা সম্ভব বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভবপর হয়। যেমন-

চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া

হরমোনের রোগগুলো এমন যা আপনি নিজে থেকে ঠিক করতে পারবেন না। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে। এক্ষেত্রে একজন এন্ডোক্রাইনোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া ভালো। তার তত্ত্বাবধানে থেকে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে ও ওষুধ খেতে হবে। যেসব রোগের জন্য ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে সেগুলো যেনো বাদ না যায় এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন।

অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন

অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- তেল-চর্বিযুক্ত খাবার, সল্টি খাবার, ফাস্ট ফুড, চিনিযুক্ত খাবার, বেকারী আইটেম, গ্লুটোনযুক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার, কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার, কোল্ড ড্রিকংস, অতিরিক্ত ক্যাফেইন, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট প্রভৃতি গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন বা খুবই স্বল্প পরিমাণে গ্রহণ করুন। এসব জাতীয় খাবার হরমোনের সমস্যা বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধি করে। তাই এগুলো গ্রহণে সতর্ক হউন। 

নিয়মিত ব্যায়াম করা

হরমোনের সমস্যার কারণে ওজন বেড়ে যায়। ফলে অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেক সমস্যারও সৃষ্টি হয়। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। হাঁটা সবচেয়ে উত্তম ব্যায়াম। তাছাড়া সাইকেলিং বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। এগুলো করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও হরমোনাল ব্যালেন্স হয়।

মানসিক চাপমুক্ত থাকুন

অনেকেই অল্প বয়স থেকে অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলে। কিন্তু অতিরিক্ত স্ট্রেস, ডিপ্রেশন এগুলো হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণ। এজন্য যতটুকু সম্ভব মানসিক চাপমুক্ত থাকুন।

জীবন-যাত্রার পরিবর্তন

জীবন-যাত্রার সামঞ্জস্যতা ছাড়া আপনি অসামঞ্জস্য হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। তাই এক্ষেত্রে আপনাকে নজর দিতেই হবে। লাইফস্টাইলে চেঞ্জ ও মডিফিকেশনের মাধ্যমে আপনি অনেক রোগই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। জীবন-যাত্রায় যেসব পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন-

  • সময়ের কাজ সময়ে করা।
  • কাজ জমিয়ে না রাখা কারণ এতে চাপ বাড়ে।
  • দেরিতে ঘুম থেকে না উঠা।
  • সময় মতো খাওয়া। অর্থাৎ সকালে ৮-৯ টার মধ্যে, দুপুরে ২ টার মধ্যে, রাতে ৭-৯ টার মধ্যে খাবার খাওয়া।
  • অল্প পরিমাণে খাওয়া। একসাথে অনেক খেয়ে না ফেলা। 
  • খাবার আধা ঘন্টা আগে ও পরে পানি পান করা।
  • খাওয়ার পর শুয়ে না পড়া ও ধীর গতিতে হাঁটা।
  • খাবার অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাওয়া।

পর্যাপ্ত ঘুম

হরমোনের সমস্যা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। রাতে না ঘুমিয়ে জেগে থাকলে হরমোনাল ইমব্যালেন্স হয়। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে শুতে হবে। ঘুমানোর সময় ঘরের লাইট অফ রাখুন ও ঘুমের পরিবেশ সৃষ্টি করুন। কারণ নিয়মিত ৮ ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মনের প্রশান্তি

পর্যাপ্ত ঘুম যেমন জরুরি তেমনি প্রয়োজন বিশ্রাম ও মানসিক প্রশান্তি। টানা কাজ করলে বিশ্রাম নিন। যদি ডেস্ক জব করেন ১/২ ঘন্টা পরপর ৫ মিনিটের একটা ব্রেক নিন। ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সাথে সময় কাটান। এতে শরীর ও মন ভালো থাকবে।

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

মেয়েদের হরমোনজনিত সমস্যা

একজন মানুষের শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের সামঞ্জস্যতা রাখতে হরমোন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশে শরীরের কোনো কোষ বা গ্রন্থি থেকে নিঃস্বরিত হয়ে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে যা মূলত বিভিন্ন গ্ল্যান্ড থেকে তৈরি হয়।

শরীরে হরমোনের প্রভাবে মেয়েদেরও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। মেয়েদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলি নীচে ব্যাখ্যা করা হলো। 

অনিয়মিত পিরিয়ড

এটি মূলত মেয়েদের একটি হরমোনাল সমস্যা। এ সমস্যা হলে মাসিক অনিয়মিত হয়। কারো ১/২ মাস পরপর, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের ১৫/২০ দিন পর বা সময়ের অনেক আগে মাসিক হয়। এ সমস্যা পরপর ২-৩ মাস হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম মেয়েদের খুবই কমন সমস্যা। মূলত নারীদেহে এন্ড্রোজেন বা পুরুষ হরমোনের আধিক্যের কারণে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন-

  • অনিয়মিত মাসিক 
  • অতিরিক্ত রক্তস্রাব
  • মুখে ও শরীরে অত্যাধিক লোম  
  • ব্রণ 
  • তলপেটে ব্যথা

বন্ধ্যাত্ব 

নারীদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হরমোন। তবে হরমোনের বিভিন্ন রোগের কারণে বন্ধ্যাত্ব হয়। যেমন- পিসিও, থাইরয়েড, প্রোল্যাক্টিন হরমোন প্রভৃতি। এছাড়া হরমোনের কারণে ডিম্বানুর সাইজ ছোট হয় বা অনুপস্থিত থাকে।

থাইরয়েড

আজকাল খুবই কমন একটি রোগ হলো থাইরয়েড। থাইরয়েডের দুটি ভাগ- হাইপোথাইরয়েড ও হাইপারথাইরয়েড। একটিতে টিএসএইচ বেড়ে যায় অন্যটিতে কমে যায়। থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলে বন্ধ্যাত্ব, দেরিতে গর্ভধারণ, অনিয়মিত পিরিয়ড, ওজন বৃদ্ধি, মিসক্যারেজ প্রভৃতি সমস্যা হয়ে থাকে।

প্রোল্যাক্টিন হরমোন

এ রোগে মেয়েদের ডিম্বাণু প্রস্ফুটিত না হওয়া, বাচ্চা না হওয়া বা দেরিতে হওয়া এসব সমস্যা দেখা দেয়। এ হরমোনের প্রভাবে অবিবাহিত বা গর্ভধারণ করেন নি এমন মেয়ে ও নারীদের বুক থেকে সাদা তরলের মত রস নিঃসৃত হতে পারে।

হরমোনের সমস্যা দূর করার খাবার

দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত পুষ্টিকর বা সঠিক ডায়েট খুবই জরুরি। প্রয়োজন বোধে আপনি একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। তাছাড়া নিম্নোক্ত পুষ্টিকর খাবারগুলি আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন৷ 

  • মাছ
  • মাংস 
  • টকদই 
  • ডিম
  • দুধ
  • কাঠবাদাম
  • আমন্ড
  • ডাল জাতীয় খাদ্য
  • সিডস
  • টমেটো
  • গাজর
  • বীট
  • পালংশাক
  • মিষ্টি আলু প্রভৃতি

এছাড়াও ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে-২, হাই ফাইবারযুক্ত ফল যেমন: আপেল, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, কলা, গ্রীন-টি নিয়মিত খেতে পারেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

প্রশ্ন: ছেলেদের হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় কী?

উত্তর: টেস্টোস্টেরন হরমোনের কারণে একজন পুরুষের শরীরে পুরুষত্বের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে যৌন চাহিদা হ্রাস, দুর্বলতা, কর্মশক্তি কমে যাওয়া, অনীহা, পুরুষের বন্ধ্যাত্ব, চুল পড়া, ক্লান্ত অনুভব করা প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়। পুরুষদের এসব হরমোনের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন: হরমোন বেশি হলে কী বাচ্চা হয় না?

উ: হরমোনের সমস্যা গর্ভধারণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। শরীরে হরমোনের আধিক্য বা হ্রাস উভয়ই খারাপ। শরীরে হরমোনের অসামঞ্জস্যতা হলেই গর্ভধারণে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করলে বাচ্চা ধারণ করার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

প্রশ্ন: হরমোন কমে গেলে কী সমস্যা হয়? 

উত্তর: হরমোন কমে গেলে বন্ধ্যাত্ব, যৌন ক্ষমতা হ্রাস পায়, কাজে আগ্রহ কমে, শারীরিক দুর্বলতা কাজ করে, উৎসাহ-উদ্দীপনা কমে যায়, বাচ্চা হাবা গোবা হয়, অনেকসময় ঠিকমতো মানসিক বৃদ্ধি হয় না, শিশু খাটো হয় প্রভৃতি।

উপসংহার

আজকাল নারী-পুরুষ উভয়ই হরমোনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই হরমোনের সমস্যা বোঝার উপায় ভালো করে জানতে হবে যেনো আপনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, জীবন-যাত্রার পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসকের পরামর্শই হরমোনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ ও কমাতে সহায়ক। 

আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকলে এখানে ক্লিক করুন!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top