অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ

অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ!

টেস্ট ও টি টুয়েন্টি হারের পরে বাংলাদেশের প্রতি দর্শকদের ক্ষোভ যেন কমছিলোই না। তাই ওয়ানডে নিয়েও তেমন আশা রাখেনি কেউ। 

ভেজা উইকেটের কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ কমিয়ে ৪১ ওভারে আনা হয়। প্রথমে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। প্রথম থেকেই ক্যারিবীয় ব্যাটারদের বেশ চাপে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা।

ইনিংসের শুরুতেই বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই তুলে নেন শাই হোপকে। শূন্য রানে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ফর্মে থাকা এই ওপেনারকে। 

পরের ওভারে নাসুম আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হয় শামাহ ব্রুকস। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ আবেদন করে ব্রুকস। সেখানে নট আউটের সিদ্ধান্ত দেয় আম্পায়ার যা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা মানতে পারেনি। তামিম ইকবাল দুই আম্পায়ারের সাথে তর্কে জড়ালেও সিদ্ধান্ত একই থাকে।

কাইল মেয়ার্স ও শামাহ ব্রুকস ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আশা আলো দেখালেও তারাও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারেনি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে মেয়ার্স। মেয়ার্স মাত্র ১০ রানে আউট হলে দলকে টানতে থাকেন ব্রেন্ডন কিং এবং শামাহ ব্রুকস।

তাদের রানের গতি না থাকলেও উইকেট ধরে রেখেছিলেন। শরিফুল ইসলামের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বিজয়কে ক্যাচ তুলে দিলে তাদের পার্টনারশিপ ভাঙে। টিকে থাকলেও মাত্র ৮ রানে আউট হয় কিং। তার পরের বলেই উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয় ব্রুকসও। ৬৬ বলের মোকাবিলায় ৩৩ রান করে আউট হন ব্রুকস।

দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকেট সুযোগ পান শরিফুল ইসলাম কিন্তু রভম্যান পাওয়েল বাঁধা হয়ে দাড়ায়। শরিফুল পাওয়েল কে ফেরাতে ব্যর্থ হলেও পরের ওভারে পাওয়েল কে সাজঘরে ফেরায় মিরাজ। এলবিডব্লিউ-এর শিকার হয়ে ফিরতে হয় পাওয়েলকে। 

অবশেষে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদের ওভারে নিকোলাস পুরান এলবিডব্লিউ-এর শিকার হলে আউট দেয় আম্পায়ার কিন্তু রিভিউ নিয়ে সেই যাত্রায় বেঁচে যায় পুরান। কিন্তু খুব বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি। আরেকটি রান আউট থেকে বাঁচলেও মিরাজের বলে বোল্ড আউট হয় পুরান। আউট হওয়ার সৃয় তার সংগ্রহে ছিল ১৮ রান। 

এরপর আর কেউ তেমন টিকতে পারেনি। মাত্র ৩ রানে রান আউট হয় আউট হয় আকিল হোসেন। মাত্র ৪ রান করে মুস্তাফিজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হয় গুদাকেশ মোতি। বেশ কিছু ক্যাচ মিসের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস দীর্ঘ হয়।

শেষ উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেন সিলস ও ফিলিপ। তাদের রানের মাধ্যমে দেড়শ রান সংগ্রহ করে ক্যারিবীয়রা। ফিলিপ ও সিলস যথাক্রমে ২১ও ১৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করে মিরাজ ও শরিফুল। দুজনেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। 

১৫০ রানের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছোট জন্য আস্তে ধীরে খেলা শুরু করে লিটন দাস। কিন্তু তৃতীয় ওভারেই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। নয় বল খেলে মাত্র ১ রান করে এলবিডব্লিউ-এর শিকার হয় লিটন দাস। এতে দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

২৫ বলে ৩৩ রান করে রান আউট হয় তামিম ইকবাল। তার সংগ্রহে ছিল ৪ টি চার ও একটি ছক্কা। দলীয় ৪৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তারপর দলকে আস্তে আস্তে টানতে থাকেন নাজমিল হোসেন শান্ত ও রিয়াদ। ৪৬ বলে ৩৭ রান করে আউট হয় বাংলাদেশ। 

জয়ের জন্য যখন আর প্রয়োজন ৩৯ রান তখন আউট হয় আফিফ হোসেন। তারপর আর সমস্যায় পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। রিয়াদ ও সোহান দলকে পৌঁছে দেয় জয় পর্যন্ত। ৫৫ বাল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। রিয়াদ ও সোহান যথাক্রমে ৪১ ও ২০ রানে অপরাজিত ছিল। 

সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com

সংক্ষিপ্ত স্কোর 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৪৯/৯ (৪১)

ব্রুকস ৩৩

শেফার্ড ১৬

পুরান ১৮

মিরাজ ৩/৩৬

শরিফুল ৩/৩৪

বাংলাদেশ – ১৫১/৪ (৩১.৫)

রিয়াদ* ৪১

শান্ত ৩৭ 

তামিম ৩৩

মোতি ১/১৮

ফলাফল – ৬ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top