চলছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসল। আজ ২৮ জানুয়ারি দশম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল মিনিস্টার ঢাকা ও সিলেট সানরাইজার্স। খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে সিলেট সানরাইজার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো সফলতা পায় সিলেট।
প্রথমেই দুই অপেনারের জুটিতে দলের সংগ্রহ হয় ৫০ রান। প্রথম সাজঘরে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। ১৬ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন বিজয়। বিজয়ের পর মিঠুন ও কলিন নেমে কেউই সুবিধা করেনি তেমন। ৮ বলে ৬ রান করেন মিঠুন এবং ৩ বল খেলে শূন্য রানেই ফিরতে হয় কলিম ইনগ্রামকে। বরি বোপারা আস্তে ধীরে শুরু করতে লাগলেও বেশীক্ষণ টিকে না। ১৫ বল খেলে ১৩ রান করে ফিরতে হয় তাকেও।
দলের সবাই এভাবে ঝড়ে গেলেও টিকে ছিলেন সিমন্স। তিনি একটাই রান টানছিলেন। হাফ সেঞ্চুরি করার পরে দ্বিতীয়বারের মতো সেঞ্চুরি করেন সিমন্স। শতক করতে খেলেন ৫৯ টি বল। ১২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা ছিল তার শতকের মধ্যে।
শতকের পর আরও মারকুটে ব্যাটিং শুরু করে সিমন্স। আন্দ্রে রাসেলের এক ওভারে দুই চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। সাজঘরে ফেরার আগে তার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬৫ বলে ১১৬ রান। তারমধ্যে মোট বাউন্ডারি ছিল ১৯ টি।
বিপিএল এর আরো খবর পড়ুন…
৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে সিলেটের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৫ রান। ৮ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ঢাকার পক্ষে মাশরাফি, রাসেল, এবাদত ও কাইস আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
১৭৬ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নামে মিনিস্টার ঢাকা। পাওয়ারপ্লেতে তামিম একাই ৩০ বল খেলে যৌথভাবে পাওয়ারপ্লেতে সর্বোচ্চ বলা খেলার রেকর্ড গড়েন। এবং বিপিএলে এটাই সর্বোচ্চ। ৬ ওভারেই ঢাকার রান দাঁড়ায় ৭৪ এ। মাত্র ২৯ বলে অর্ধ শতক হাঁকান তামিম ইকবাল, এবং ৬১ বলে শতক পূীন করেন। এটি ছিল তামিমের টি-টুয়েন্টি ক্যারিয়ারে চতুর্থ শতক। শতক করতে বাউন্ডারি হাঁকান ২১ টি। তারমধ্যে চার ছিল ১৭ টি এবং ৪ টি ছক্কা। ম্যাচ শেষে ১১১ রানে অপরাজিত ছিল তামিম ইকবাল।
অর্ধশতক পূরন করেন শাহজাদও। ৩৯ বল খেলে করেন ৫৩ রান। তারমধ্যে ছিল ৭ টি চার ও ১ টি ছক্কা। শাহজাদ আউট হওয়ার পরের বলেই বাউন্ডারির মাধ্যমে জয় এনে দেয় তামিম। ৩ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে বিশাল জয় পায় ঢাকা।
সকল টি-টুয়েন্টি মিলে ২৪তম বার এবং বিপিএলে ২য় বারের মতো একই ম্যাচে দুইটি সেঞ্চুরির দেখা মিলল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
সিলেট সানরাইজার্স – ১৭৫/৫ (২০)
সিমন্স ১১৬ (৬৫), বিজয় ১৮ (১৬)
কাইস ১/২৬ (৪), মাশরাফি ১/২৯ (৪)
মিনিস্টার ঢাকা ১৭৭/১ (১৭)
তামিম ১১১* (৬৪), শাহজাদ ৫৩ (৩৯)
বাবু ১/৩২
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়েছেন তামিম ইকবাল।