ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খুব একটা ভালো সময় কাটাচ্ছে না বাংলাদেশ। টেস্টের খারাপ লাক পিছু নিলো টি টুয়েন্টিতেও। এক ম্যাচ হার ও এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পরে গতকাল সিরিজ ড্রয়ের জন্য মাঠে নামে বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ । ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিল দুই ওপেনার। এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস দলকে আস্তে আস্তে এগিয়ে নিচ্ছিলেন।
পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ডিপিএল-এ অসাধারণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশ টিমে জায়গা পাওয়া এনামুল হক বিজয়ের উইকেট পতনের মাধ্যমে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেও ব্যর্থ ছিল বিজয়। ওডেন স্মিথের বলে আকেল হোসেনকে ক্যাচ তুলে দিয়ে মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফিরে এই ওপেনার।
এনামুল হক বিজয় ফিরলে মাঠে নামে সাকিব আল হাসান। তবে সাকিবও তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। বিজয়ের মতোই বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয় এই অলরাউন্ডার। এতে মাত্র ৫ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। সাকিব আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের সাথে জুটি গড়তে শুরু করে লিটন। তাদের অসাধারণ জুটি শীঘ্রই দুই উইকেটের বিপর্যয় সামাল দিতে সক্ষম হয়।
শুরু থেকে ভালো ব্যাটিং করলেও অল্পের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি লিটন দাস। আকেলকে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৪৯ রানে সাজঘরে ফিরে লিটন দাস। এরপর রিয়াদের সাথে দলকে টানতে থাকে আফিফ। রিয়াদ টিকলেও রান তুলতে পারেনি সেরকম। ২০ বলে ২২ রান করে আউট হয় রিয়াদ।
একই ওভারে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয় আফিফ। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেই সাজঘরে ফিরে আফিফ। শেষ ওভারে সৈকতের দুই চারে মোট ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
১৬৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুন শুরু করে ব্রেন্ডন কিং। তবে সেই ওভারেরই শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে রিয়াদের হাতে ক্যাচ তুলে দেয় ব্রেন্ডন। এতে ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শামাহ ব্রুকসকে সাজঘরে ফেরায় মেহেদী। তারপর পাওয়ার প্লেতে আর কোন উইকেট পায়নি বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লে শেষে প্রথম ওভারে বলে আসে সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই এলবিডব্লিউতে আউট হয় ওয়েন স্মিথ। মাত্র ২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপরে চতুর্থ উইকেটে নামা নিকোলাস পুরানকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন কাইল মেয়ার্স। তাদের পার্টনারশিপ থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পায় ৮৫ রান।
যা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। তাদের জুটিতে ৫৫ রান করা মেয়ার্সের অবদানই বেশী ছিল। মেয়ার্সকে ফেরাতে সক্ষম হয় নাসুম। মেহেদীর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে মেয়ার্স। মেয়ার্সের পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পায় পুরানও।
মেয়ার্সের বিদায়ের পর আর একটা উইকেট পায় বাংলাদেশ। আফিফের বলে লিটনকে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে রভম্যান পাওয়েল। ১০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে পুরান। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন হেলদি-স্পোর্টস শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ – ১৬৩/৫ (২০)
আফিফ হোসেন ৫০ (৩৮)
লিটন দাস ৪৯ (৪১)
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২২ (২০)
হেইডেন ওয়ালশ ২/২৫ (৪)
রোমারিও শেপার্ড ১/১৯ (২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৬৯/৫ (১৮.২)
নিকোলাস পুরান* ৭৪ (৩৯)
কাইল মেয়ার্স ৫৫ (৩৮)
শারমারহ ব্রুকস ১২ (১২)
নাসুম আহমেদ ২/৪৪ (৪)
আফিফ হোসেন ১/১০ (১)
সাকিব আল হাসান ১/১০ (2)
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ এবং প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ হয়েছেন নিকোলাস পুরান।