শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব শেষে রাউন্ড অফ ১৬’তে আল থুমামা স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও শেষ ম্যাচে এসে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হারে হোঁচট খায় ফ্রান্স।
এরপরও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফ্রান্স। অন্যদিকে, পোল্যান্ডের শেষ ১৬ নিশ্চিত করাটা ছিল অনেকটা সমীকরণ নির্ভর। আর্জেন্টিনার কাছে ২-০ গোলের হারের পরও মেক্সিকোর সাথে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সমান পয়েন্ট নিয়েও পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে পোলিশরা।
এই ম্যাচ জয় করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করতে মরিয়া ছিল উভয় দল। নিজেদের দল নিয়েই একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামে দুই দল।
১ম হাফ: প্রথমার্ধের শুরুতে থেকেই দুই দলেই সমান তালে বল দখলে রাখে । ম্যাচের শুরুতে ফ্রান্স কিছুটা চাপে থাকলেও পোল্যান্ড সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয়। ফ্রান্সের গোলের অভিমুখে কিছু শট নিলেও তা কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা দিতে পারেনি।
অন্যদিকে, নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে থাকে দিদিয়ের দেশম্সের দল। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের ১ মিনিট আগে এমবাপ্পের এ্যাসিস্টে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন অলিভার জিরুড। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময় শেষ হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
২য় হাফ: ব্যবধান বড় করতে দ্বিতীয় হাফে মুখিয়ে উঠে লেস ব্লুসরা। যেখানে, গোল করে দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যস্ত হয়ে উঠে রবার্ট লেওয়ানডস্কির দল৷ এবারও বলের উপর প্রায় সমান আধিপত্য ধরে রাখলেও প্রথমদিকে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল।
৭৪ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফ্রান্স। এরপর, আরও কয়েকবার আক্রমণ করে শেষ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের ৯১ মিনিটে আরও একটি গোল করে দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে ম্যাচে নিজের জোড়া গোল পূরণ করেন এমবাপ্পে।
ম্যাচ শেষ হওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে ডি-বক্সের ভিতর ফ্রান্স ডিফেন্ডারের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় পোলিশরা। পেনাল্টি থেকে গোল করে খালি ব্যবধান কমান রবার্ট লেওয়ানডস্কি। ফলে, ৩-১ গোলের জয়ে শেষ ৮ এ পৌছেঁ গেল দিদিয়ের দেশম্সের শিষ্যরা।