বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রামের বিখ্যাত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
কুমিল্লার পক্ষে ওপেনিং এ নামে মাহমুদুল হাসান ও লিটন দাস। ওপেনিং এ নেমে খুব বেশীক্ষণ টিকতে পারেনি মাহমুদুল হাসান জয়। ৫ বলে খেলে মাত্র ১ রান সাজঘরে ফিরেন। মাহমুদুল হাসানকে শিকার করেন নাসুম আহমেদ।
মাহমুদুল হাসান আউট হলে মাঠে নামে ডু প্লেসি। আস্তে ধীরে দেখেশুনে খেলা শুরু করেন ডু প্লেসি। আরেক ওপেনার লিটন দাস ও ডু প্লেসির পার্টনারশিপ ভালোই চলতে থাকে। কিন্তু ৮০ রানের পার্টনারশিপ করে নাসুম তার দ্বিতীয় শিকার করে লিটনকে। আউট হওয়ার আগে ৩৪ বল খেলে ৪৭ রান করেন লিটন দাস। মাত্র ৩ রানের জন্য মিস করেন হাফ সেঞ্চুরি।
লিটনের পর ডু প্লেসিকে সাপোর্ট দিতে আসেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু তাকেও সাজঘরে ফিরতে হবে শীঘ্রই। ৩ বলে খেলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে ইমরুল কায়েস। ইমরুল কায়েসের পরে ক্রিজে নামে ক্যামেরন ডেলপোর্ট। তাকে সাথে নিয়েই রান বাড়াতে শুরু করেন ডু প্লেসি।
বিপিএল এর আরও খবর জানুন…
নির্ধারিত ২০ ওভার পর ডু প্লেসি অপরাজিত ছিল। ৫৫ বল মোকাবেলা করে ডু প্লেসি করেন ৮৩ রান। তারমধ্যে ছিল ৮ টি চার ও ৩ টি ছক্কা। শেষের দিকে ডু প্লেসিস চেয়েও মারকুটে ছিলেন ডেলপোর্ট। শরিফুল ইসলামের শেষ ওভারে হাঁকিয়েছেন ১ টি ছক্কা ও ৪ টি চার। মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন ডেলপোর্ট। ২৩ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই ব্যাটসম্যানও। তার ঝুলিতে ছিল ৪ টি চার ও ৩ টি ছক্কা।
২০ ওভার খেলে কুমিল্লার মোট সংগ্রহ ছিল ১৮৩ রান। তখনও ৭ টি উইকেট হাতে ছিল কুমিল্লার। চট্টগ্রামের পক্ষে ৩ টি উইকেটের মধ্যে দুটি উইকেট নেয় নাসুম ও একটি উইকেট নেয় বেনি হাওয়েল।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে মাঠে নামে চট্টগ্রাম। প্রথম ওভারেই কেনার লুইসকে হারিয়ে চাপে পরে যায় চট্টগ্রাম। তারপর নিয়মিত উইকেট পড়তে শুরু করে চট্টগ্রামের। উইল জ্যাকস চেষ্টা করেন রানের চাকা সচল রাখতে। কিন্তু তাকে সাপোর্ট দেওয়ার মতো কাউকে পাননি। ৪২ বল খেলে ৬৯ রান সংগ্রহ করে উইল জ্যাকস। ৭ টি চার ও ৩ টি ছক্কা ছিল জ্যাকসের ঝুলিতে।
জ্যাকস আউট হলে জেতার আশা নিভে যায় চট্টগ্রামের। শেষ পর্যন্ত ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রান করে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। উইল জ্যাকস ছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী দুই অঙ্কের রানের দেখা পান। কুমিল্লার পক্ষে তিনটি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং দুইটি করে উইকেট নেয় তানভীর ইসলাম ও শহিদুল ইসলাম। একটি উইকেট নেয় করিম জানাত।
সবধরনের অর্গানিক ফুড, ২০০+ আয়ুর্বেদ ঔষধ ও খেলার সামগ্রী ঘরে বসেই অর্ডার করুন আমাদের শপ থেকে- https://shop.healthd-sports.com
সংক্ষিপ্ত স্কোর –
টস : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৮৩/৩ (২০)
ডু প্লেসি ৮৩* (৫৫), ডেলপোর্ট ৫১* (২৩), লিটন ৪৭ (৩৪)
নাসুম ২৩/২, হাওয়েল ৩১/১
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৩১/১০ (১৭.৩)
উইল জ্যাকস ৬৯ (৪২), মৃত্যুঞ্জয় ১৩ (১২), মিরাজ ১০ (৯)
নাহিদুল ১৭/৩, মুস্তাফিজ ২৬/২, তানভীর ৩৩/২, শহিদুল ৩৪/২
ফলাফল – কুমিল্লা ৫২ রানে জয়ী।
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ফাফ ডু প্লেসি।